কলকাতা পুরোভোটের ইতিহাসে রীতিমতোই রেকর্ড। বিপুল ব্যবধানে জিতলেন ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রার্থী প্রাক্তন অভিনেত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় (Ananya Banerjee)। ৩৭৬৬১ ভোটে জিতেছেন তিনি। এই ওয়ার্ডে মোট ভোট পড়েছিল ৪২ হাজারের কিছু বেশি। তার সিংহভাগ ভোটই এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝুলিতে।
পুরোভোটের প্রচারের শুরুর প্রথম থেকেই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই প্রার্থী। প্রচারের শেষপর্বে ধামসা মাদলের তালে তাঁর অংশগ্রহণ নেট মাধ্যমে যথেষ্ট সাড়া তৈরি করেছিল। বিরোধীদের একাংশ অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের এই তারকা প্রার্থী কোভিড বিধি লঙ্ঘন করেছেন। যদিও বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ কার্যত ধোপে টিকতে দিলেন না তিনি। তাঁর ওয়ার্ডে নামমাত্র ভোট পেয়েছে বিরোধীরা। একসময় বামদুর্গ বলে পরিচিত যাদবপুরের এই ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের এই বিপুল জয় এককথায় তাক লাগিয়ে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
২০১৫ সালে এই ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসময় আর এক অভিনেত্রী দেবিকা মুখোপাধ্যায়কে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছিল। যদিও নিজের ক্যারিশ্মায় জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। আবার এই পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর উপরেই আস্থা রেখেছিলেন। অনন্যার এই বিপুল জয় দলের কাছে তাঁর গুরুত্ব আরও বাড়াল বলছেন ওয়াকিবহাল মহল। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন, "প্রচারের শুরুর থেকেই বোঝা যাচ্ছিল অনন্যা বড় ব্যবধানে জিততে চলেছে।"
অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের অধিকাংশ হেভিওয়েট নেতৃত্ব সহজ জয় হাসিল করে নিয়েছেন। ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছিলেন রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার। তিনি সাড়ে ৯ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন। কলকাতা পুরভোটে পর পর ছ’বার জিতে রেকর্ড গড়লেন মালা রায়। ৮৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছেন তিনি। অন্য দিকে বামনেতা ক্ষিতি গোস্বামীর কন্যা বসুন্ধরা গোস্বামীকে ৯৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। তিনিও জয়ী হয়েছেন। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের সন্তোষকুমার পাঠক। ২০১৫ সালেও সন্তোষ পাঠকই জিতেছিলেন এই ওয়ার্ডে। পুরভোটে শুরুর থেকেই অনেক এগিয়ে তৃণমূল। এখন দ্বিতীয় স্থানে কে থাকবে তাই নিয়ে জোর চর্চা।