দশমীর সন্ধ্যায় মা দুর্গার সামনেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে তরজা। ক্ষোভের সুরে রত্না চট্টোপাধ্যায় প্রকাশ্যে বলেছিলেন, "রক্ষিতাকে সিঁদুর পরালেই সে স্ত্রী হয়ে যায় না।" এমনকি শোভনবাবুর পুত্র বলেন, "ওঁরা চেষ্টা করছেন সম্পর্কটাকে রোমান্টিকভাবে উপস্থাপন করতে। কিন্তু, আসলে ওরা বেলেল্লাপনা করে বেড়াচ্ছেন। এসব করে আসলে উনি যেমন নিজেকে অপমান করছেন, তেমনই আমাদের পরিবারকেও আপমান করছেন।"
এসবের পর আর চুপ থাকতে পারলেন না শোভন চট্টোপাধ্যায়। রত্না চট্টোপাধ্যায়কে ‘রক্ষিতা’ বলে কটাক্ষ করে তিনি বললেন, 'পরপুরুষের সঙ্গে কলকাতার বাইরে একাধিকবার বেড়াতে গিয়েছেন রত্না। প্রমাণ রয়েছে।' এর সঙ্গেই শোভনবাবু যোগ করে বলেন, "সাত পাকে বাঁধা পড়েও রত্না রক্ষিতা হয়ে গিয়েছে। আর বৈশাখী সাত পাকে বাঁধা না পড়েও সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।"
শোভনবাবুর আরও দাবি, তাঁর অজান্তে কলকাতার বাইরে একাধিকবার পরপুরুষের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছেন রত্না। সেই সব প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। এমনকী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইল ফোনের কল ডিটেইলস ও তাঁর ক্রেডিট কার্ডের খরচের বিবরণ রয়েছে শোভনবাবুর কাছে। যার প্রয়োজনীয় অংশ বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনেও দেওয়া রয়েছে।
এর সঙ্গেই শোভনবাবু সংবাদমাধ্যমকে আরও জানালেন, তাঁর জমি ভাড়া দিয়ে পয়সা রোজগার করছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। যা নিয়ে আইনি লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।