বিজেপির মঞ্চে শোভনের সভার পরেই তার বিরুদ্ধে সরব হলেন তার স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার একটি সাক্ষাৎকারে তিনি শোভন বাবুকে একের পর এক বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন। স্বামীকে আয়নার সামনে দাড়িয়ে দেখতে বলেন তিনি। রত্নার কথায়," যে মঞ্চে দাড়িয়ে শোভন এত বড় বড়ো কথা বলছেন, সেই মঞ্চ তিনি পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। ১৯৮৫ সালে ২১ বছর বয়সে শোভন চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে কাউন্সিলরের টিকিট নেন।" শোভনকে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখার পরামর্শ দিলেন রত্না। তিনি বললেন,' যে মানুষটাকে তিনি কাল আক্রমণ করে এলেন, তিনি ওনার বিজেপিতে যোগদানের পরে মুখ খোলেননি।"
এছাড়াও, রত্নার দাবি, বৈশাখীর জন্য শোভন মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। চটির মত মন্ত্রিত্ব উনি ছাড়েননি। রত্নার কথায়,' মন্ত্রিত্বের প্রতি ওনার অনেক লোভ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওনাকে মন্ত্রী করেছিলেন, মেয়র করেছিলেন। উনি শুধু বলেছিলেন, হয় কাজ কর, নাহলে প্রেম কর। দুটো একসাথে করিসনা। শোভন নিজে বৈশাখীর সঙ্গে রাত দিন কাটানোর জন্য মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। ওনার কাজ ভালো লাগলোনা। বৈশাখীর জন্য তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। অসততার জন্য প্রতিবাদে ছাড়েননি। আর শুধু মন্ত্রিত্ব কেনো, ওই মহিলার জন্য শোভন তার সন্তানদের ছেড়ে গেছেন।"
বৈশাখী ব্যানার্জীকে উদ্দেশ্য করে রত্না বললেন," আমার ওনার নাম মুখে আনতে ঘেন্না করে। যদি লজ্জা থাকে আর কোনো কথা বলবেন না।আমার লজ্জা লাগে যখন আমার বরকে নিয়ে ফেসবুক এর মত জায়গায় লোকে নানান কথা বলে। কিন্তু বৈশাখীর নামে বাজারে কি আছে তা সব্বার জানা। ওনার নাম নিতেও আমার ঘেন্না করে। আমার মত কলকাতা শহরে অনেক মহিলা আছেন, যাদের ঘর ভাঙতে ভাঙতেও ভাঙেনি। সেরকম বহু মহিলা তাকে ঘেন্না করেন।"