শুভেন্দুর পর এবার রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের বৈঠক। শুভেন্দুকে বেসুরো দেখেই আলোচনাভিত্তিক মীমাংসায় বসেছিলেন সৌগত রায়, পিকে ও তৃণমূলের আরও শীর্ষ নেতৃত্বরা যে বৈঠক তৃণমূলের পক্ষে কার্যত শুভেন্দু অধিকারীকে ধরে রাখার জন্য নিস্ফলা বলেই প্রতিপন্ন হয়েছে। আর বেশ কিছুদিন ধরে রাজীবের নানান মন্তব্যে ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসায় এবার মীমাংসায় মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে দ্বারস্থ রাজীব, এমনটাই সূত্রের দাবি। এই বৈঠকে তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরও উপস্থিত ছিলেন।
শুভেন্দু সমস্যা না মিটতেই রাজীবের "স্তবকতা করলেই নম্বর বাড়ে" বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অন্দরে আরও এক বড়ো ফাটলের আশঙ্কা দেখছেন অনেকে। তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রায় দেড় ঘন্টার ওই বৈঠকে কী উঠে এল আজ? কোনও কী মীমাংসা হল রাজীবের সাথে দলের? কার্যত এই প্রশ্নগুলিই ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে। বৈঠক শেষে রাজীব বন্দোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান এই বৈঠক একটি দলীয় বৈঠক যাতে আগামী দিনের রণনীতি কী হবে তাই-ই আলোচ্য ছিল এবং সন্তুষ্টির প্রশ্নে তিনি বলেন এখানে কোনো সন্তুষ্টি অসন্তুষ্টির প্রশ্ন নেই। ব্যক্তিগত বা দলকেন্দ্রিক কোনো ক্ষোভের প্রশ্নে বলেন "ক্ষোভ থাকতেই পারে। ক্ষোভ থাকলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটবে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে। আমায় আবার ডাকা হলে আসব।’ শুভেন্দু অধিকারীর সিদ্ধান্তের সাথে তাঁর সিদ্ধান্তের তুলনা টানলে তিঁনি জানান প্রত্যেকের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত থাকবে এবং তিনি অন্য প্রসঙ্গে যেতে চাননা। রাজীবের ছবির নীচে 'আমরা দাদার অনুগামী' লেখা পোস্টার নিয়ে তিনি বলেন তাঁর নাম নিয়ে তাঁর অজান্তে কোথাও কিছু হলে তিনি তা নিয়ে ভাবিত নন এবং প্রশ্রয় বা সমর্থন কিছুই করেননা। আজকের বৈঠক প্রসঙ্গে বিশেষ কিছু নিজে মুখে না বললেও পার্থ চট্টোপাধ্যায় বাকি কথা বলবেন বলে জানালেন রাজীব।