নির্বাচনের উত্তাপ বাড়িয়ে রবিবার বামেদের ব্রিগেড। পরিবর্তনের ডাক দিয়ে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি স্লোগান তুললেন, “লুঠপাটের নয়, জাতপাতেরও নয়। বাংলায় চাই জনহিতের সরকার।” শুধু তাই নয়, বাম-কংগ্রেসের যৌথ ব্রিগেড সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাতের পাশাপাশি জোট নিয়ে কংগ্রেসকে বার্তা দিলেন ISF-এর পৃষ্ঠপোষক আব্বাস সিদ্দিকি। অসুস্থতার কারণে নেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তা সত্ত্বেও ব্রিগেড ঘিরে বাম কর্মী-সমর্থকদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো।
ISF-এর পৃষ্ঠপোষক আব্বাস সিদ্দিকি বলেন,‘যেখানে যেখানে বাম শরিক দল প্রার্থী দেবে, সেখানে রক্ত দিয়ে হলেও মাতৃভূমিকে স্বাধীন আমরা করবো। পুরনো দিনে কী হয়েছে সব ভুলে গিয়ে এই বিজেপি সরকার আর বিজেপি সরকারেরই টিম মমতা সরকারকে উৎখাত করে আমরা ছাড়বো।
আজকে বাংলার স্বাধীনতা কেড়েছে এই মমতা। নারীদের অধিকার কেড়েছে এই মমতা। একটা রেপের জন্য ২ লক্ষ টাকা মূল্য ধারণ করেছে এই মমতা। সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত নয় এমন মাদ্রাসার শিক্ষকরা, টেটের শিক্ষকরা, পার্শ্ব শিক্ষকরা, সিভিক ভলান্টিয়াররা, পুলিশ কর্মীরা মমতার আমলে বিপদে রয়েছে। এর দাদাগিরিতে কেউ কথা বলতে পারে না। একমাত্র এই বাঘের বাচ্চাটা কথা বলে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে গেলাম, ২০২১-এ মমতাকে জিরো করে আমরা দেখিয়ে দেবো। সঙ্গে বিজেপি নামক কালো হাতটাকে ভেঙে দেশ থেকে নিখোঁজ করে দিতে হবে।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আব্বাসের কটাক্ষ, "আজ সব থেকে বেশি আফশোস করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ওর ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছে।"
এদিনে ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে নয়া সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখান সূর্যকান্ত মিশ্রও। তৃণমূলের দিদিকে বলো, পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “সবাই বলল কিছু হল না। তারপর পাড়ায় সমাধান। এমন সমাধান করেছেন যে বাকি দলটা বিজেপি হয়ে গেল। উনি একাই বাকি। সরকার চাই, যে সরকার আপনারা ঠিক করবেন। আমরা চাই না, একা একা কেউ ঠিক করুক রাজ্য কীভাবে চলবে।”