একুশে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে বাংলায়। বঙ্গ রাজনীতি সরগরম হয়ে আছে রাজনৈতিক নেতাদের বাক-বিতণ্ডার জেরে। কিছুদিন আগেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ ভাইরাল হয়ে আছেন। তিনি তারকা প্রার্থীদের কটাক্ষ করতে গিয়ে বলেছিলেন, "শিল্পীদের বলছি আপনারা নাচুন,গান। ওটা আপনাদের শোভা পায়। রাজনীতি করতে আসবেন না। ওটা আমাদের করতে দিন। না হলে রগড়ে দেবো।" শিল্পীরদের বিরুদ্ধে এমন কথা দাবানলের মতো ছড়িয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। এই কথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর তুলেছেন টলিউড অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অঙ্কুশ হাজরা, ঐন্দ্রিলা সেন। এছাড়াও দিলীপ ঘোষের কথার তীব্র বিদ্রুপ করেছেন বাঙালি পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় ও অনিকেত চট্টোপাধ্যায়।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন যাতে তিনি সরাসরি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, "মাননীয় ঘোষ মহাশয়ের মন্তব্য পড়ে অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন, অনেক শিল্পী অভিনেতা তো আপনাদের দলেও যোগ দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও কি আপনার রগড়ানি প্রযোজ্য? আপনাদের বলি, বুঝতে ভুল হচ্ছে আপনাদের! উনি আসলে বলেছেন, শিল্পীদের যদি রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে হয়, একমাত্র ওঁদের দলের হয়েই বলতে হবে। তাহলেই আর কোনও সমস্যা, রগড়ানি কিছু নেই।নিদেনপক্ষে অন্য কোনও বিরোধী দলের হয়ে যদি বলেন, সেও ভি আচ্ছা! কারণ সেটা শেষমেশ সিস্টেমের ভেতরে থেকে কথা বলা হবে। প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতিতে সময়ের জাঁতাকলে কে কখন কাজে লাগে বলা যায় না। কিন্তু পার্টির রং ছাড়া, স্বাধীনভাবে রাজনীতি, সমাজ এসব নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা যাবে না। ভাবনা চিন্তা যত স্বাধীন, তত সমস্যা! ভাবলেই রাষ্ট্রশক্তির বিপদ যে! মনে পড়ে, হীরক রাজার দেশের কথা? ওফ উদয়ন মাস্টার, তোমার কথা যে আজ বড্ড মনে পড়ে! বাকিটা আমার প্রিয় দেশ এবং রাজ্যবাসীর উপরেই ছাড়লাম।"
অন্যদিকে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় বিদ্রুপ করে বলেছেন, "রগড়ে দিলে দিন। তবু, সংস্কৃতি প্রশ্ন তুলবে কোথায় "আচ্ছে দিন"?" এছাড়া অনিকেত চট্টোপাধ্যায় দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেছেন, আমরা নাচবো, গাইবো। আর রগড়ে দিতে এলে এমন রগড়ান রগড়াবো যে মুচলেকা দিয়ে পালাবেন। শত্রু এলে অস্ত্র হাতে লড়তে জানি, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।"