স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ড দিয়ে যে কোনও অঙ্গ প্রতিস্থাপন করার আগে লাগবে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের অনুমতি। এমন নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ছড়াল কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে (National Medical College)। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানদের কাছে নির্দেশিকা পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নির্দেশিকায় বলা রয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় রোগীর যে কোনও অঙ্গ প্রতিস্থাপনের আগে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এবং এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকরী করার নির্দেশও দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে জেনারেল সার্জারি, নিউরো সার্জারি, অর্থোপেডিক, ইউরোলজি, ইএনটি বিভাগের প্রধানদের কাছে।
তবে নির্দেশিকা পাওয়ার পরেই বিরোধিতায় সরব হয়েছে একাধিক সরকারি চিকিৎসক সংগঠন। মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক নির্দেশিকার বিরোধিতা করে বলেছেন, “হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় রোগী পড়ে। অনুমতি নিতে হবে। রোগী ততক্ষণ অপেক্ষায় থাকবে। এটা হাস্যকর”। অন্যদিকে অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস’এর সাধারণ সম্পাদকও নির্দেশিকার বিরুদ্ধে মুখ খুলে বলেন, “অপারেশনের আগে বিভাগীয় প্রধানরা জানতে চাইবেন বসানো হবে কিনা। যতক্ষণে সব কাজ হবে ততক্ষণ রোগী বাঁচবে তো?”
তবে বিতর্কিত নির্দেশিকার সাফাই দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঠিকভাবে যাতে চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহ হয়, সেবিষয়েই নিশ্চিত করতে এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও মেডিক্যাল কলেজের তরফ থেকে ওষুধ নিয়েও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, জরুরি বিভাগে আসা রোগীরা সর্বোচ্চ ৩ দিন এবং আউটডোর রোগীরা সর্বোচ্চ ৭ দিনের ওষুধই পাবেন। সে বিতর্ক মিটতে না মিটতেই আবারও এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।