নাটকীয় মোড় নারদ মামলার। শেষ শুনানি অনুযায়ী কলকাতা হাইকোর্ট চার হেভিওয়েট নেতা অর্থাৎ ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গৃহবন্দি থাকারই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গতকাল নারদ মামলার শুনানি থাকলেও সিবিআই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতির মধ্যে শুরু হয় সওয়াল জবাব।
গতকাল সিবিআইয়ের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা নারদ মামলার গ্রেফতারির প্রসঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, 'জনগনকে দিয়ে বিচার ব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরি করার কৌশল হলে, ভবিষ্যতে বিচার ব্যবস্থার ওপর থেকে আস্থা উঠে যাবে।' এ প্রসঙ্গে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলে বলেন, "বিচারকের প্রভাবিত হওয়ার প্রমাণ না থাকলে আমরা কী করতে পারি? বিচারপতি বলেন, দেশে প্রচুর হাই প্রোফাইল গ্রেফতারির ঘটনা ঘটে। সেখানেও মানুষের আবেগ আছে, মানুষের কান্না থাকে। কিন্তু প্রমাণ করতে হবে যে বিচারক তার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। সেটা না হলে এই উদাহরণ আপনাদের বিপরীতে যেতে পারে। গ্রেফতারি আইনি না, বেআইনি এটাই দেখতে পারি। আমরা গোটা প্রক্রিয়াকে পূর্ববর্তী অবস্থায় নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু তার জন্য প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য থাকা দরকার।"
এরপরেই গতকালের মতোন শুনানি শেষ হয়। এবং আজ ফের নারদ মামলার শুনানিতে চার হেভিওয়েট নেতার গৃহবন্দির নির্দেশের স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে, অন্তর্বর্তী জামিনের ছাড়পত্র দেন, তবে তাও আবার দুলক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে। এই জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ।
পাশাপাশি হাইকোর্ট শর্ত দিয়েছে, নারদ মামলা নিয়ে এই চার নেতা-মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে কোনও সাক্ষাত্কার বা মতামত দিতে পারবেন না। কোনও তথ্যপ্রমাণ বিকৃত করাও চলবে না।
(বিস্তারিত আসছে)
