গতকালই বাঁকুড়া পুরুলিয়ার সফর সেরে কলকাতা ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই আজ দুপুরে ভবানীপুরের কাঁসারিপাড়ায় শীতলাপুজোয় যোগ দেন তিনি। বিগ্রহের উদ্দেশ্যে শাড়ি ও মিষ্টি নিবেদন করেন তিনি। এরপর জনতার উদ্দেশ্যে দীর্ঘক্ষণ ভাষণ দেন।
এদিনের ভাষণে মমতা বলেন, "আপনারা হয়তো জানেন না, সিঙুর আন্দোলনের সময় আমি যে ২৬ দিন অনশন করেছিলাম, তখন প্রথম দিন থেকে আমি সন্তোষীমাতার ব্রত পালন শুরু করি। মাকে বলি, কৃষকরা যদি তাদের জমি ফেরত পান তাহলে তাঁকে একটা ছোট মন্দির গড়ে দেব। সঙ্গে আজীবন সন্তোষীমাতার ব্রত পালন করব আমি। সিঙুরের সেই মন্দিরে আগামিকাল আমি পুজো দিতে যাব।" তাঁর সংযোজন, "দক্ষিণ কলকাতার লেক কালিবাড়ির বগলামুখী ও সন্তোষীমাতার মূর্তি গড়িয়ে দিয়েছি আমি। মাঝে মাঝে তাদেরও দেখতে যাই।"
তবে তিনি যে আক্ষরিক অর্থে সেকুলার তা এদিন কথার মাঝে বলতে ভোলেননি। বলেন, "আমি দুর্গাপুজোয় যেমন ভোগ খাই। তেমনই ইদের আগে ইফতারে যাই। গুরুদ্বার থেকে হালুয়া চেয়ে খাই।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "যার মন ভালো তার মনেই মন্দির, মসজিদ, গির্জা বিরাজ করে। মন বড় করুন, হৃদয় পবিত্র রাখুন।"