শুক্রবার দুপুরে মহাবৈঠক প্রশান্ত কিশোর এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর। আর এই বৈঠকে মনে করা হচ্ছে তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে বেশকিছু রদবদল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে ঘন্টা তিনেক মহাবৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে মমতা এবং পিকে এর মধ্যে এই বৈঠকে, বেশ কিছু নতুন সম্ভাবনার কথা সামনে আনছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর যদি সেই সম্ভাবনার সামনে আসে তাহলে হয়তো আগামী সপ্তাহের মধ্যেই একেবারে নতুন তৃণমূল দল এবং তৃণমূল মন্ত্রিসভা গঠিত হয়ে যাবে।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় চাইছেন যাতে এক ব্যক্তি একপদ নীতি চালু করা সম্ভব হয়। প্রশাসন এবং দল দুটি একেবারে আলাদা ভাবে পরিচালনা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন জনপ্রশাসনের কাজে কোন রকম ভাবে দলের কোনো হস্তক্ষেপ না আসে। তাছাড়া, যদি দলকে আলাদা ভাবে রাখা যায় তাহলে দলের সম্প্রসারণে আরো সুবিধা হবে বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন নিয়ম যদি কার্যকর হয় তাহলে বহু নেতা মন্ত্রী কে নিজের একটি না একটি পদ ছাড়তে হবে। এমনকি শুধুমাত্র উপরতলার স্তরে নয় একেবারে ব্লক স্তর এবং জেলা স্তর পর্যন্ত এই নিয়ম চালু করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা চাইছেন সবার মাথা থেকে কাজের চাপ কমাতে, যাতে একজন যে কাজটা করবে সেই কাজটা ভাল ভাবে করতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেস এই সমস্ত পদ পরিবর্তন তাড়াতাড়ি করে নিয়ে আগামী উপনির্বাচন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। এই কারণেই, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে নতুন মুখকে সামনে আনা হচ্ছে। আর ঠিক সেই কারণেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে জরুরি বৈঠক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। প্রশান্ত কিশোরের টিম এইবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা করেছে এবং কাঙ্খিত জয়লাভ করতে পেরেছে। প্রশান্ত কিশোর নিজের সমস্ত দাবি দাওয়া পুরন করতে পেরেছেন। রাজ্যে কোথায় কে কোন পদে রয়েছেন, তা একেবারে প্রশান্ত কিশোরের নখদর্পণে রয়েছে। এই কারণেই হয়তো তৃণমূলের ইতিহাসের সব থেকে বড় রদবদল এর আগে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে একটু শলাপরামর্শ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।