অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান। বিজেপি (BJP) ছাড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Former Union Minister Babul Supriyo)। এদিন শনিবার নিজের ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্টে সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি।পাশাপাশি, অন্য কোনও দলে আপাতত যোগ দিচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ পোস্টের সঙ্গে দিয়েছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গান "এক গোছা রজনীগন্ধা হাতে নিয়ে বললাম, চললাম...।" লেখার শেষেই শুধু নয় পোস্টের গোড়াতেও বাবুল লিখেছেন, "চললাম..., অলবিদা...।"
তাঁর কথায়, " তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস অন্য কোনো দলে যাচ্ছি না। কেউ আমায় ডাকেও নি। আমিও কোথাও যাচ্ছি না। তাছাড়া সমাজসেবার কাজ করতে হলে কোনও দলে থাকতে হয় না। তাই পরিবারের সকলের সঙ্গে আলোচনা করে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।”
তিনি আরও বলেন, "বিগত কয়েকদিনে বার বার মাননীয় অমিত শাহ ও মাননীয় নাড্ডাজির কাছে রাজনীতি ছাড়ার সঙ্কল্প নিয়ে গেছি এবং আমি ওঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ যে প্রতিবারই ওঁরা আমাকে নানাভাবে অনুপ্রাণিত করে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমি তাঁদের এই ভালোবাসা কোনো দিন ভুলবো না আর তাই আবার তাঁদের কাছে গিয়ে সেই একই কথা বলার ধৃষ্টতা আর আমি দেখাতে পারবো না। বিশেষ করে 'আমার আমি' কি করতে চায় তা যখন আমি অনেকদিন আগেই ঠিক করে ফেলেছি। বেশ কিছু সময়ে তো থাকলাম। কিছু মন রাখলাম কিছু ভাঙলাম। কোথাও আপনাদের হয়তো আমার কাজে খুশি করলাম, কোথাও নিরাশ হতাশ করলাম। মূল্যায়ন আপনারাই নয় করবেন। আমি 'আমার' মনে ওঠা সব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পরই বলছি। আমার মতো করেই বলছি।"
প্রসঙ্গত, ২০১৪, ২০১৯ পরপর দুবার আসানসোল থেকে বিরাট ব্যবধানে জিতে বিজেপি সাংসদ হন বাবুল সুপ্রিয়। দু’বারই প্রতিমন্ত্রীও হন। কিন্ত পূর্ণ মন্ত্রিত্ব পাওয়া হয়নি তাঁর। তবে এবার মন্ত্রিত্বের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মন্ত্রিত্ব হারানোর পরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্বও তৈরি হয়েছিল। তা নিয়ে বাবুল লিখেছেন, "বেশ কিছু সময়ে তো থাকলাম। কিছু মন রাখলাম, কিছু ভাঙলাম। কোথাও আপনাদের হয়তো আমার কাজে খুশি করলাম, কোথাও নিরাশ, হতাশ করলাম। মূল্যায়ন আপনারাই নয় করবেন।"
এদিন বাবুল আরও লেখেন, "আজ বাংলায় বিজেপিই প্রধান বিরোধী দল। আজ পার্টিতে অনেক নতুন তরুণ তুর্কী নেতা যেমন আছে তেমনি অনেক প্রবীণ বিদগ্ধ নেতাও আছেন। এঁদের নেতৃত্বে দল এখান থেকে অনেক দূর যাবে এটা বলাই বাহুল্য। বলতে দ্বিধা নেই যে আজ পার্টিতে কোনও একজন ব্যক্তিবিশেষের থাকা না থাকাটা কোনও বড় ব্যাপার নয় তাও স্পষ্ট হয়েছে এবং এটা মেনে নেওয়াটাই যে সঠীক সিদ্ধান্ত হবে এটাই আমার দৃঢ়, সুদৃঢ় বিশ্বাস!"