রবিবারের কলকাতার পুরভোট (Kolkata Municipality Election) নির্বাচনের আজ ফলঘোষণা। সকাল ৮ টা থেকেই ১৪৪ টি ওয়ার্ডের ৯৫০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস শুরু থেকেই পুরসভা দখলে আশাবাদী, এখন কেবল ঘাসফুল শিবিরের দখলে কত আসন আসতে পারে তার হিসেব-নিকেশ চলছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, পুরভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। স্যোসাল মিডিয়ায় পুরভোটের দেদার ছাপ্পা, কোথাও সিসিটিভি বিকল, আবার কোথাও ভোট দিতে না দেওয়ার ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে। তারপরও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি ছাড়া অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।
পুরসভার মোট ১২ টি কেন্দ্রে গণনা। ইতিমধ্যেই গণনাকেন্দ্রগুলি নিরাপত্তার মোড়কে ঘিরে ফেলা হয়েছে। রবীন্দ্র ভারতী ইউনিভার্সিটি, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, কসবা গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টিচার্স ট্রেনিং এডুকেশন প্ল্যানিং এন্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন ফর উইমেন হেস্টিংস, যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুল, যোধপুর পার্ক গার্লস স্কুল, যোধপুর পার্ক গার্লস হাই স্কুল, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম ( উত্তর), বড়িশা হাই স্কুল, ঠাকুরপুকুর বিবেকানন্দ কলেজ, সিস্টার নিবেদিতা গভর্নমেন্ট জেনারেল ডিগ্রি কলেজ ফর গার্লস, জোকা ব্রতচারী বিদ্যাশ্রম।
সকাল ৭ টায় খোলা হবে স্ট্রং রুম। সর্বনিম্ন ১৩ রাউন্ড এবং সর্বোচ্চ ১৬ রাউণ্ড হবে। কাউন্টিং এজেন্টদের কেউ মোবাইল-সহ কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার মোড়কে ঘিরে ফেলা হয়েছে। সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী, কুইক রেসপন্স টিম, রিজার্ভ পুলিশ, ফ্লাইং স্কোয়াড থাকছে। গণনাকেন্দ্রের এজেন্টদের করোনার দু'টি টিকা নেওয়া থাকতে হবে। তা নাহলে ৪৮ ঘন্টার আগে আরটি-পিসিআর রিপোর্ট জমা দিতে হবে। গণনাকেন্দ্রের ভেতরে সাদা কাগজ ও কলম ছাড়া আর কিছু নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। সব মিলিয়ে পুরভোটের লড়াইয়ের ফলাফল ঘোষণার কাজ শুরু। শেষ হাসি কে হাসবেন, আর কিছুটা সময়ের অপেক্ষা।