চতুর্থ দফার নির্বাচনে শীতলকুচি কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন, যারা তৃণমূল কর্মী। কাজেই উত্তেজনা চরমে। যদিও পুলিশ সুপারের বক্তব্য, “নিজেদের আত্মরক্ষা করতেই গিয়ে গুলি চালায় পুলিশ।"
পুলিশের আরও বক্তব্য, "প্রায় তিনশো-সাড়ে তিনশো গ্রামবাসী, যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা, জওয়ানদের ঘিরে ধরে। উত্তেজনা ছড়ায়। অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলে। এমনকী, ব্যালট ছিনতাইয়ের অবস্থা তৈরি হয়। তখন নিয়ম মেনেই গুলি চালায় বাহিনী। ১৫ রাউন্ড গুলি চলে। ৪ জনের মৃত্যু হয়।” গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যায় নির্বাচন কমিশন। এরপরে গতকালই শীতলকুচি কান্ডের চার জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহের নির্দেশেই এই ‘গণহত্যা’ বলে দাবি করেছেন মমতা।
এই পরিস্থিতিতে ফের হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন দিলীপ ঘোষ। বরানগরের সভা থেকে তিনি বলেন, "সকলে ভোট দিতে যাবেন। কেউ যদি বাধা দেয়, কোনও কথা শুনবেন না। আমরা সব দেখে নেব। মাথায় রাখবেন কেউ বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।" দিলীপ ঘোষের এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের নিস্ক্রিয়তার প্রসঙ্গ তুলে, কমিশন বিজেপির তাবেদারি করছে বলে বারবার কটাক্ষ করেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইট করে লেখেন, "নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের প্রতি নির্বাচন কমিশনের দাসত্ব নোংরামির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। মানুষের সঙ্গে দেখা করায় মমতাকে বাধা দিতে পারেন। কিন্তু মানুষের মন থেকে তাঁকে সরাবেন কী করে?"
উল্লেখ্য, গতকালই কোচবিহার পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কোচবিহারের ৯ বিধানসভায় আগামী ৭২ ঘণ্টা কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রবেশ করতে পারবেন না বলে নির্দেশিকা জারি করে কমিশন। এরপরেই আলোচনা তুঙ্গে। এ প্রসঙ্গেই অভিষেক বলেন, "মমতাকে নিজের লোকেদের সঙ্গে দেখা করা থেকে ৩ দিনের জন্য আটকাতে পার। কিন্তু মানুষের মন থেকে তাঁকে সরাবেন কী করে?”