কয়েক ঘন্টা যাবৎই ভার্চুয়ালি যুদ্ধ হচ্ছিল গেরুয়া শিবির এবং অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের মধ্যে। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে "যৌণকর্মী" বলে দাবি করেন। বলাবাহুল্য, চুপ থাকার পাত্রী নন সায়নী ঘোষ। দিয়েছেন পাল্টা জবাব।
পোস্ট করে লেখেন, "আমি কে বা কি সেই সার্টিফিকেট টি আপনার কাছ থেকে আমি নেব না এবং আমি সব পেশাকেই সম্মান করি। ফলত, আপনি আমাকে বিশেষ ছোট করতে পারলেন না। তবে আপনি নিজে অনেকটা ছোট হলেন। যা বুঝলাম মহিলাদের সম্মান করা আপনাদের রক্ততে নেই। এমনকি আপনার পরিবারের প্রাক্তন একজন কয়েকদিন আগেই এই অভিযোগটি করেছিলেন। আর আপনি এই কথাগুলো বলে সেটা আরো পরিস্কার করে দিচ্ছেন। যা বাংলার মা বোনেদের জন্য যথেষ্ট চিন্তার কারণ।"
অভিনেত্রী আরও বলেন, এরকম মন্তব্যের জন্য তিনি মামলাও করতে পারেন। এরপরেই সরগরমে রাজনৈতিক তরজা। শেষমেষ একপ্রকার অস্বস্তিতেই বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ-র মন্তব্যের কারণে ক্ষমা চাইলেন গেরুয়া শিবির।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘বিজেপি এই ধরনের মন্তব্য সমর্থন করে না। দলের যিনি এমন কথা বলেছেন, তিনি ভুল করেছেন। এজন্য যাঁদের অপমান করা হয়েছে, দলের পক্ষ থেকে তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। একই সঙ্গে এই মন্তব্যের জন্য রাজ্যবাসীর কাছেও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’’
প্রসঙ্গত, বুধবার বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেন, "কিছু ফিল্ম আর্টিস্ট আছে যারা শুধু দক্ষিণ কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ২ লক্ষ টাকা করে স্যালারি পায়, তাঁরা কি বলছে জানেন? এই বর্ধমানের শিব মন্দিরে, এই বুয়াইচণ্ডী কালী মন্দিরে, শিব মন্দিরে যে শিবলিঙ্গ থাকে সেই শিবলিঙ্গতে কন্ডোম পরিয়ে শিব পুজো করা হোক। দেবী সরস্বতীকে যৌনকর্মী বলেছেন সায়নী ঘোষ। যারা শিবলিঙ্গকে বা মা মনসাকে অপমান করে, তারাই আসলে যৌনকর্মী।"