অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান করে বাম-কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (Indian Secular Front) জোটের জল্পনা কাটল। যদিও, একথা স্পষ্ট ছিল যে কয়েকদিনের মধ্যেই কাটবে এই জট প্রক্রিয়া। আর তার জেরেই দফায় দফায় দফায় বৈঠকের পর আসন সংখ্যার নিরিখে ঐক্যমত্যে পৌঁছল জোট শিবিরের তিন শরিক। জোট শিবির সূত্রের খবর, সবচেয়ে বড় শরিক বামফ্রন্ট লড়বে ১৬৫ আসনে। কংগ্রেস লড়বে ৯২টি আসন।আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddique) আইএসএফ লড়াই করবে ৩৭ আসনে। দ্বিতীয় বৃহত্তম বাম দল ফরওয়ার্ড ব্লক লড়বে ১৫ আসনে। এবং আরএসপির পাচ্ছে ১১টি আসন। অন্যদিকে, সিপিআই লড়বে ৯টি আসনে।
উল্লেখ্য, ব্রিগেডে আসন ঘোষণার কথা থাকলেও, তা হয়নি। উল্টে আসন ভাগ নিয়ে কংগ্রেসকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি। তবে পরে অন্য সুরে তার মিলিয়েছিলেন আব্বাস। আসন পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে গতকালই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। এরপরেই বুধবার রাজ্য সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে, জট কাটাতে উদ্যোগী হতেই প্রকাশ্যে আসে আসন সংখ্যা।
তবে এখনও কাটেনি এর রেশ। সূত্রে খবর, আইএসএফ চাইছে তাঁদের ভাগে থাকা ৩৭টি আসনের মধ্যে যে কোনও তিনটির পরিবর্তে মালদহে অন্তত একটি এবং উত্তরবঙ্গের অন্য দুই জেলায় একটি করে আসন তাঁদের ছাড়া হোক। তবে আইএসএফকে বেশি আসন না ছাড়ার ব্যাপারে অনড় অধীর। কাজেই, এনিয়ে আজ ফের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আইএসএফ নেতারা।