সাত সকালেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে (Mukul Roy) ফোন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi, PM)। উদ্দেশ্যে একটাই, মুকুল রায়ের করোনাক্রান্ত স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া। খবর, মোদী জানতে চান, মুকুল রায়ের স্ত্রী কেমন আছেন, চিকিৎসা কেমন চলছে, কোনো অসুবিধা আছে কিনা। ২ মিনিটের কিছু বেশি সময় দু'জনের মধ্যে কথা হয়। এই ফোনালাপকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, করোনাক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের স্ত্রী। বর্তমানে তাঁর অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক। গতকাল তাঁকে দেখতে হঠাৎই ওই হাসপাতালে যান যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তখন হাসপাতালে ছিলেন না মুকুল রায়। এমনকি রাতে মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।
উল্লেখ্য, গত ১৫ দিন যাবৎ হাসপাতালে রয়েছেন মুকুল রায়ের স্ত্রী। শারীরিক অবস্থাও বেশ জটিল। রয়েছেন একমো সাপোর্টে। অথচ গত ১৫ দিন হাসপাতাল চত্বরে কোনও বিজেপি নেতা-নেত্রীকে দেখা যায়নি বলেই খবর। অথচ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পরেই তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছোটেন দিলীপবাবু। তার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই ফোন করে খোঁজখবর নিলেন মোদিও। কাজেই দিলীপ ঘোষের সাক্ষাৎ এবং সকালে প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপের পরেই উঠছে প্রশ্ন।অভিষেক-শুভ্রাংশু সাক্ষাতের পরেই দলীয় নেতার পাশে থাকার কথা মনে পড়ল বিজেপি নেতৃত্বের? নাকি দলের ভাঙন রোধ করতেই এই পদক্ষেপ! তবে এসব নিয়ে কথা বলতে নারাজ গেরুয়া শিবির।