সমস্ত জল্পনার অবসান কাটিয়ে, অবশেষে গুঞ্জনেই পড়ল শিলমোহর। এবার বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। এদিন অর্থাৎ শুক্রবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। তবে স্বাভাবিকভাবেই এই ঘোষণার পরেই বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা কক্ষ।
স্বভাবতই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "রীতিনীতি বিসর্জন দিয়ে অধ্যক্ষ মুকুলকে PAC চেয়রাম্যান করেছেন। বিজেপির কেউ মুকুল রায়ের প্রস্তাবক ছিলেন না। তাহলে কীসের ভিত্তিতে মুকুলকে চেয়ারম্যান করা হল? মুকুল রায়কে নির্বাচনের প্রতিবাদ করে আমরা হাউস থেকে বেরিয়ে এসেছি। এর প্রতিবাদ করছি। মুকুল রায়কে আজ চেয়ারম্যান করা হলেও উনি বিধায়ক পদই টিকিয়ে রাখতে পারবেন না বলেই আমার বিশ্বাস, কারণ দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব। রীতি অনুযায়ী বিরোধী থেকেই PAC চেয়ারম্যান হন, এই প্রথম অন্যথা হল। ঐতিহ্যকে ভাঙলেন অধ্যক্ষ মহোদয়। ভারতীয় জনতা পার্টির কোনও সদস্য বা সদস্যা মুকুল রায়ের নাম প্রস্তাব করেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রীর উপস্থিতিতে গলায় উত্তরীয় পড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অডিয়ো-ভিডিয়ো সবাই দেখেছেন। আমাদের অশোক লাহিড়ীর নাম পাঠিয়েছিলেন মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা। সেটা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। কারণ সরকার চায় খরচ আমরা করব, হিসাব আমরা দেখব। এই সরকার ২০১৭ সাল থেকে ক্যাগের অডিট করেনি। ২০১২-১৩ সাল থেকে জিটিএ-র অডিট করেনি। খেলা-মেলায় টাকা খরচে বিরোধীরা বাধা না হতে পারে তাই এই সিদ্ধান্ত। অশোক লাহিড়ীর মতো ভোটে জিতে আসা সম্মানীয় অর্থনীতিবিদ ভুল গুলি যাতে ধরতে না পারেন, তাই মুকুল রায়কে মনোনীত করল। মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ৬৪ পাতার অভিযোগ অধ্যক্ষকে দিয়েছি।"
প্রসঙ্গত, পিএসি-র সদস্যপদে মুকুল রায়ের মনোনয়ন জমা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, 'নমিনেশন যে কেউ দিতে পারেন। যিনি জমা দিয়েছেন, মুকুল রায়, তিনি তো বিজেপির মেম্বার। তাঁকে বিনয় তামাংরাও সমর্থন করবেন। ভোটাভুটি হলে হবে, দেখি কার কত ক্ষমতা। মানুষের কত ক্ষমতা দেখে নেবে বিজেপি।'