নির্বাচনের টিকিট না মেলার ক্ষোভে দলবদলের জোয়ার দেখা গিয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের আগে। তৃণমূলের সাথে আড়ি করে বিজেপির দুয়ারে ছুটে গিয়েছিলেন একাধিক নেতা-নেত্রী। নির্বাচন মিটেছে অনেকদিন। সামনেই পুরভোট। যদিওবা সেখানেও দেখা গেল একই চিত্র। টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভে ভোটের মুখে নিজের দল ত্যাগ করে অন্য দলে চলে এলেন নেত্রী। তবে এবারে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নয়, বামফ্রন্ট ত্যাগ করে নেত্রীকে আসতে দেখা গেল তৃণমূলে। শনিবার সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন বিদায়ী কাউন্সিলর বিলকিস বেগম। ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখালেন তিনি।
গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি কলকাতা পুরভোটে নিজেদের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছিল সিপিএম। যদিও বাম প্রার্থীদের তালিকায় ঠাঁই পাননি পুরসভার ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর বিলকিস বেগম। ঠিক তার একদিন পরেই বাম শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরের হাত ধরলেন তিনি। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, টিকিট না পেয়েই ক্ষুব্ধ হয়ে দল ছেড়েছেন বাম নেত্রী। যদিও বিলকিসের দাবী, “দিদির কাজ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে সিপিএম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি”।
উল্লেখ্য, বাম শিবিরে অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ মুখ ছিলেন বিলকিস। ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলরকে তৃণমূলের একছত্র আধিপত্যের মাঝখানে দাঁড়িয়েও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতে দেখা গিয়েছে। এমনকি ২০১৮ সালে পুর আইন সংশোধন করে ফিরহাদ হাকিমকে মেয়র পদে বসানোর সময় সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু আজ সেই ফিরহাদের হাত থেকেই তিনি তুলে নিলেন দলীয় পতাকা। প্রসঙ্গত, এবারে পুরসভার ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সিপিএমের টিকিটে পুরনির্বাচনে লড়াই করবেন ফৈয়াজ আহমেদ খান। বিলকিসের মতো নেত্রীকে সরিয়ে রেখে অন্য নেতাকে নির্বাচনে দাঁড় করানোর জন্যই দল ছেড়েছেন বিলকিস, এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে। ভোটের মুখে তাঁর দলবদলের ফলে যে খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে সিপিএম, সে কথা বলাই যায়।