গতকাল মুখ্যমন্ত্রী উচ্চ মাধ্যমিক (HS) এবং মাধ্যমিকের (MP) পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ঘোষণা করেছেন। এবার পরীক্ষার আগে অন্তত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টিকার প্রথম ডোজ দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সমাজের প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকাকরণের ব্যবস্থা নিল রাজ্য সরকার। কলকাতার বিভিন্ন স্কুলে টিকাকরণ (Vaccination) শিবিরের মাধ্যমে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা। পাশাপাশি হকার, পরিবহণ কর্মী, ব্যাঙ্ক কর্মী, আইনজীবীদের টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুর প্রশাসক ও পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
গৃহবন্দি পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এদিন এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বলেছেন, ৪৫ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। কলকাতার ১০২ টি টিকা কেন্দ্রে প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত টিকাকরণের কাজ চলবে। তার জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে নাম নথিভুক্তের প্রয়োজন নেই। পুরসভার তরফে এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ৮৩৩৫৯৯৯০০০ নাম নথিভুক্ত করে নির্দিষ্ট স্লটে নাম লেখাতে হবে। শুক্রবার ১১ টার পর থেকে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে সর্বাধিক চারজনের টিকার জন্য চারটি স্লট বুকিং করা যাবে। একই দিনে একটি কেন্দ্রে ৫০ জনকে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। তবে প্রথম ডোজের এই টিকাকরণ শুধুমাত্র প্রতিদিন দুপুর ২টো থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসক ও বিধায়ক অতীন ঘোষ।
শিক্ষকদের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থার নির্মাণ কর্মীদের টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশাসক ও বিধায়ক অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, “শিক্ষকদের পাশাপাশি নির্মাণকর্মীদেরও টিকা দেওয়া শুরু হবে। সরকারি যে সমস্ত প্রকল্পে কাজ চলছে সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা যোগাযোগ করলে সেখানে শিবির করে পুরসভা টিকা দেবে। বেসরকারি ক্ষেত্রেও দেওয়া হবে। তবে স্থানীয় থানা সেক্ষেত্রে নির্মাণ কর্মীদের সার্টিফিকেট দেবে।"