দিন কয়েক আগেই নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই রীতিমতো তোপ দেখেছিলেন বিজেপি নেতা তথা ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় (Tathagata Roy)। এবার নিজের যুদ্ধাস্ত্রে নিজেই বুমেরাং হলেন তিনি। যদিও গোটা বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে আরও কয়েকটি বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।
দিন কয়েক আগেই এক টুইট বার্তায় তিনি উল্লেখ করেছিলেন, "৩ থেকে ৭৭ (এখন ৭০) গোছের আবোলতাবোল বুলিতে পার্টি পিছোবে, এগোবে না। অর্থ এবং নারীর চক্র থেকে দলকে টেনে বার করা অত্যাবশ্যক। দলের নবনিযুক্ত সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা - এঁরা দুজনে নেতৃত্ব দিন। পুরোনো চক্রে ফেঁসে থাকলে এখন যে পুরভোটের প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না এরকম অবস্থাই চলবে।" এই টুইটের জেরেই কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় তথাগত রায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন এক আইনজীবী।
অভিযোগকারী আইনজীবীর নাম সায়ন ব্যানার্জি। তিনি কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি বলেছেন, "অনৈতিক ভাবে অর্থনৈতিক লেনদেন এবং নারীদেহ আদান প্রদান নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।" গোটা বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের প্রয়োজন মনে করেছেন এই আইনজীবী।
এই ঘটনার পর বিজেপি নেতা তথাগত রায় গোটা বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ১৯৮২ সালে ১৭ জন আনন্দমার্গী সাধুর হত্যারও তদন্ত চেয়েছেন। তার সঙ্গেই অভিযোগকারী আইনজীবীর অভিযোগ সম্পর্কে আর এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "হা ঈশ্বর ! এই সব লোক আজকাল হাইকোর্টে উকিল হয় ! আর নালিশের কি ছিরি !" গোটা বিষয়টি নিয়ে টুইট যুদ্ধ যে অব্যাহত, তা বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।