সমস্ত পুরানো প্রথা ভেঙে এবারে ব্যানার্জীর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এতদিন পর্যন্ত সভাপতিকে দলের মুখ্য হিসেবে গণ্য করা হতো কিন্তু সূত্রের খবর এবার থেকে বিরোধী দলনেতা ও একই গুরুত্ব পেতে চলেছেন রাজ্য বিজেপি তে। ফলে শুভেন্দু অধিকারীকে অতিরিক্ত বেশ খানিকটা ক্ষমতার অধিকারী করে দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। আসন্ন রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকের প্রস্তাব পেশ হতে চলেছে। আর যদি এই প্রস্তাব ঠিকঠাকভাবে পেশ হয় তাহলে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর গুরুত্ব পার্টিতে একেবারে সমান থাকবে। তবে এই সিদ্ধান্তের ফলে কিছুটা মনোক্ষুন্ন হয়েছে দিলীপ অনুগামীদের। হেস্টিংসের রাজ্য বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকের রাজ্যের শীর্ষনেতা বিধায়ক এবং সাংসদ উপস্থিত থাকবেন। মনে করা হচ্ছে সেখানেই বিরোধী দলনেতার গুরুত্ব বাড়ানোর প্রস্তাব পেশ করা হবে।
সূত্রের খবর সেই প্রস্তাব গৃহীত হলে বিজেপি নেতৃত্বের ঠিক করে দেবে কিভাবে দিলীপ এবং শুভেন্দুকে সমান গুরুত্ব দিয়ে বিজেপির মুখ হিসেবে সামনে তুলে ধরা যায়। এছাড়াও বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজ কমল পাঠক বলেছেন, "আজ পর্যন্ত বিজেপি কখনো প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পায়নি। তাই আজ পর্যন্ত কোন বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হয়নি। কিন্তু এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস এবং সিপিএম এর উপর থেকে মানুষের ভরসা উঠে গেছে। তার ফলেই বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সামনে আসতে পেরেছে। এই কথা মাথায় রেখে সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতাকে একসঙ্গে সামনে রেখে এগোনোর পরিকল্পনা নিয়েছেন দিল্লি নেতারা।"
তবে জাতীয় স্তরের ক্ষেত্রে এবার বাংলায় কিছুটা অন্যরকম ব্যাপার আসতে চলেছে বিজেপিতে। এতদিন পর্যন্ত জাতীয় স্তর কিংবা রাজনৈতিক স্তর সব জায়গাতেই বিজেপির প্রধান মুখ থাকতেন দলের সভাপতি। যেরকম ভাবে দিল্লিতে রয়েছেন জেপি নড্ডা সেরকমই এতদিন রাজ্যে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সাংগঠনিক বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এই কারণে দিলীপ ঘোষ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সুনজরে আছেন। তবে, এবারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন বিজেপির হয়ে। বারংবার প্রত্যেকটি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর এবারে যদি সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতার সমান গুরুত্ব দেওয়া হয় পার্টিতে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আরো বড় আক্রমণ শানাতে পারবে বিজেপি, এরকমটাই মতামত রাজনৈতিক মহলের।