তিনদিন আগে ঘোষণা। "৮ তারিখ নবান্ন অভিযান করবে বিজেপি। টলিয়ে দেবে নবান্ন।" প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠলো। স্যানিটাইজেশনের ছুতো দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হলো নবান্ন। কিন্তু তাতে কি থামা? থামলে নিজেদের সমর্থকদের ভরসা হারানোর ভয়।
সব মিলিয়ে বিজেপি নবান্ন অভিযান করবে ঠিক করলো। কিন্তু প্রশাসন কি ছাড়বে? ছাড়লে তো প্রশাসনিক ব্যর্থতা। ফলে একদিকে বিজেপি যাবেই নবান্ন অবধি, অন্যদিকে পুলিশ কিছুতেই যেতে দেবে না। বন্ধ রেখেছে রাস্তা। মাঝখান থেকে ভুগলো সাধারণ মানুষ। রাস্তায় বাস কম। ফলে বাসে গাদাগাদি করা ভিড়। কে মাথায় রেখেছে করোনা? কে মাথায় রেখেছে সামাজিক দূরত্বের কথা?যাই হোক। করোনা পরিস্থিতিতে জমায়েত এবং কোনো পাবলিক স্পেসে জমায়েত করা বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় এই দুটোকে হাতিয়ার করে প্রশাসন আটকে দিলো রাস্তা। নবান্ন অভিযান আটকে গেলো নবান্ন থেকে বহু দূরেই।
এইদিন হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছি, হেস্টিংস এবং রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তর থেকে নবান্ন মুখী মিছিল শুরু হয়। কিন্তু দ্বিতীয় হুগলী সেতু, হাওড়া ব্রিজ, জাতীয় সড়ক সব বন্ধ করে মিছিলের পথ অবরুদ্ধ করে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে বিজেপি সমর্থকরা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করা হয়। সব জায়গায় জল কামান, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চায় পুলিশ।
হাওড়া ময়দানে পুলিশ বিজেপি সংঘর্ষে ব্যাপক বোমাবাজি হয়, বিজেপি সমর্থকের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় পিস্তল। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন রাজু বন্দোপাধ্যায়, অরবিন্দ মেনন সহ অন্যান্য নেতারা। আহত বহু বিজেপি কর্মী। সবমিলিয়ে সারাদিন সাধারণের ভোগান্তি আর বিজেপি - প্রশাসন সংঘর্ষ নিয়ে ব্যস্ত রইলো শহর। যদিও বিজেপির দাবী সব রীতি মেনে তাদের আজকের কর্মসূচি সফল।