উপনির্বাচন হলেও হাইভোল্টেজ ম্যাচ। ভবানীপুর উপনির্বাচন (Bhwanipur By-poll) ঘিরে তাই নিরাপত্তার আঁটোসাঁটো বেড়াজাল। কেন্দ্রীয়বাহিনী, রাজ্য পুলিশ, স্পেশাল অবজার্ভার থেকে শুরু করে সব কেন্দ্রে সিসিটিভির ব্যবহার, থাকছে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা। ভবানীপুর উপনির্বাচন ঘিরে তাই তুঙ্গে নিরাপত্তার বলয়। পিছিয়ে নেই মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র সামসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর।
একদিকে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র, অপরদিকে প্রকৃতির প্রতিকূলতা সবদিক খতিয়ে দেখে চালু হয়েছে টোল ফ্রি নম্বর ১৯৫০। কোন ভোটার সমস্যায় পড়লে কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আটকে পড়লে এই টোল ফ্রি নম্বরে সাহায্য নিতে পারেন। এমনকী প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সকাল ৭ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল এবং সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসও আইনজীবী। সব মিলিয়ে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ভবানীপুর উপনির্বাচনে। সামসেরগঞ্জে প্রার্থীর সংখ্যা সাত, জঙ্গিপুরে নয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ভবানীপুরে ১৫ কোম্পানি আধা আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২০ কোম্পানি আধাসেনা নতুন করে রাখা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ২ হাজার ৫৬৩ জন আধিকারিক রাখা হয়েছে। সঙ্গে থাকছে কিউআরটি টিম। মোট ৯৮ টি ভোট কেন্দ্রে ২৮৭ টি বুথ রয়েছে।
সকাল সাতটা থেকেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। সকাল থেকেই বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব বুথে বুথে ঘুরছেন। সকাল থেকেই কলকাতা পুরসভার পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম মাঠে নেমে পড়েছেন। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। সকাল থেকেই তিনিও বেরিয়ে পড়েছেন। জানিয়েছেন, সঠিক নির্বাচন হলে তিনিই জিতছেন।