গত পরশু তৃণমূলে যোগদান করেছেন বিজেপির অনেকদিনের বিশ্বস্ত সৈনিক এবং বিজেপির টিকিটে জিতে আসা দুবারের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তবে সুপ্রিয়র সাথে সুপ্রিমোর দেখা করাটা বাকিই রয়ে গেছিল! অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। নবান্নে মুখোমুখি বাবুল-মমতা। সঙ্গী ডেরেক এবং অভিষেক। নবান্নে দুজনের আড্ডা চলল বেশ খানিক্ষন। বেরিয়ে এসে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন সদ্য বিজেপি ত্যাগী আসানসোলের বিজেপি সাংসদ।
এদিন নিজেই গাড়ি চালিয়ে বাবুল পৌঁছেছিলেন নবান্ন-তে। বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি জানালেন, “অন্য জায়গা থেকে আসার পর এতটা ভালবাসা পেলে খুবই ভালো লাগে। আমার উপর মমতা দি, অভিষেক এতটা ভরসা রাখছে দেখে খুব ভালো লেগেছে”। প্রসঙ্গত, শনিবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে তিনি জানান, তাঁকে যে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা তাঁর কাছে রীতিমতো অপ্রত্যাশিত। তবে সেই দায়িত্ব যে কি তা তিনি সেদিন খোলসা করেননি। তার অন্যথা হল না আজও। নতুন দলে তাঁর দায়িত্বের প্রশ্ন উঠতেই বুদ্ধিমত্তার সাথে ড্রিবল করে রাজনীতিবিদ গায়কের উত্তর, আমার দায়িত্ব কি সেটা দিদিই বলবেন, আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন না।
বাবুল সুপ্রিয় আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ হবে আর সেখানে ঝালমুড়ি প্রসঙ্গ আসবে না, তা কেমন করে হয়? এদিনও প্রশ্ন উঠল। তবে ফুটবল ফ্যান বাবুল, বল কাটানোর মতো বিতর্কিত প্রশ্নগুলিকেও কাটিয়ে উত্তর দিলেন, ‘উনি বলেছেন, মুড়ি খেলে ওজন বাড়ে। কোন মুড়ি খেটে হবে সেটাও উনি বলে দিয়েছেন’। দুই গানপ্রেমীর সাক্ষাতে গান নিয়েও আলোচনা হল দেদার। নবান্ন ছাড়ার আগে বাবুলের মুখে শোনা গেল, ‘আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে’।
এতদিন দুজনে ছিলেন একে অপরের যুযুধান পক্ষ। তবে রাজনীতির ময়দানে বিরোধিতা হলেও আন্তরিকতায় খামতি ছিল না কারোর মধ্যেই। ২০১৫-য় ভিক্টোরিয়ার সামনে বাবুলের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর তুলে দেওয়া ‘ঝালমুড়ি’র কথা কারোর অজানা নয়। এবার তো আরও এক পা এগিয়ে দুজনে একই দলের দলী। তাই দুজনের প্রথম সাক্ষাতই যে মুড়ি-মিউজিক অ্যান্ড মোর, তা বলার অবকাশ রাখে না।