শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আর থামছেই না পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিকের পর এবার কলেজের অধ্যাপক নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ। ইতিমধ্যেই মামলা উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata Highcourt)। মামলার শুনানি আগামীকাল শুক্রবার। মামলাকারীর অভিযোগ, যোগ্যতা নেই এমন ব্যক্তিদের কলেজে গেস্ট লেকচারার (Guest lecturer) হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। নিশানায় ১২ থেকে ১৪ হাজার গেস্ট লেকচারার। মামলা উঠতে পারে বিচারপতির প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।
শিক্ষা কমিশনে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দুবার জামিনের আর্জি খারিজ করেছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে পার্থকে। এছাড়াও তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডেড হয়েছেন প্রাক্তন এই মন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫১ কোটি টাকা। দুর্নীতিতে জেরবার পশ্চিমবঙ্গের ফের একবার উঠলো অধ্যাপক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। আর এর ফলেই কলেজ সার্ভিস কমিশনের যোগ্য অথচ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা খোলা চিঠি লিখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তাঁদের অভিযোগ, "২০১৮ সালে কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেই দায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এড়াতে পারেন না। একইসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর, উচ্চশিক্ষা দপ্তর এবং কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিভিন্ন আধিকারিক, ইন্টারভিউ বোর্ডের কিছু সদস্য এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।" তাদের আরও দাবি, "পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাট থেকে যে বিপুল পরিমাণ খামবন্দি টাকা উদ্ধার হয়েছে, তাতে ‘Higher Education Department’-এর নাম জ্বলজ্বল করছে। অর্থাৎ উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সংগৃহীত দুর্নীতির টাকা, উদ্ধারকৃত অর্থের সঙ্গে রয়েছে এটা অনুমান করা খুবই সঙ্গত।" স্কুল সার্ভিসের খাঁড়াও ঝুলছে, তার ওপর গোদের উপর বিষফোঁড়া কলেজ সার্ভিস কমিশনও।