পুরভোটে (Municipality Election) রেকর্ড মার্জিনে জিতেছেন। তাঁর ওয়ার্ডে বিরোধী পক্ষ কার্যত ধরাশায়ী। পরপর দু'বার জয় ছিনিয়ে নিয়ে রেকর্ড তৈরি করেছেন তিনি। এবার স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে গিয়ে সরাসরি দেখা করলেন, কথা বললেন মন খুলে। পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিলেন উপহার। অনেক দিন পর স্কুলে এসে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ নিলেন নিজে উপস্থিত থেকে।
শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা নেত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় (Ananya Banerjee)। কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রার্থী ছিলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩৭ হাজারের বেশি ব্যবধানে ভোটে জিতেছিলেন তিনি। এই বিপুল জয়ের পর তিনি ঘরে বসে থাকেননি। নিজের ওয়ার্ডের প্রতিটি অংশ তাঁর নখদর্পণে। রাজ্য সরকারের ঘোষণা মত কোভিড বিধি মেনে খুলে গেছে স্কুল। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শুরু হয়েছে ক্লাস। করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল ক্যাম্পাস। আর স্কুল খুলতেই নিজে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বললেন, দেখা করলেন এই নেত্রী।
নিজের ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে চারণকবি মুকুন্দ দাস হাইস্কুলে চলে গিয়েছিলেন। পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে নিজেই বলেছেন, "স্কুলে ভর্তি হয়েছে। পরীক্ষাও হয়েছে। পরের উঁচু ক্লাসে উত্তীর্ণও হয়েছে। কিন্তু এখনও স্কুলে যায়নি। আবার যারা দিন কয়েকের জন্য স্কুলে গেছিল তারাও প্রায় স্কুলের বাড়িটা কেমন দেখতে মনে করতে পারছে না। সকলেরই ইউনিফর্ম ছোট হয়ে গেছে। প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের এমনই অবস্থা। আজ দীর্ঘ দুবছর পর স্কুলের গেট খুলে গেল।"
সত্যিই তাই! করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল। মাঝে বড়দের স্কুল কিছুদিনের জন্য খুললেও খুদে পড়ুয়াদের তো সেই ২০২০ সাল থেকে বন্ধ স্কুল। এতদিন স্কুলমুখো হয়নি তারা। বাড়িতে পড়াশোনা করেছে, কিন্তু ক্লাসরুমের সেই কলকল ধ্বনি তারা শোনেনি। এরমধ্যে অনেকেই বড় হয়ে গেছে। ছোট হয়েছে তাদের পোশাক। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার নতুন আনন্দে তারা মাতোয়ারা। তাদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াকু যোদ্ধা অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে বলেছেন, "যেন জীর্ন বাগানে প্রস্ফুটিত হল অসামান্য সব রঙীন ফুল। হৈ হৈ করে আনন্দ মেতে উঠল কচি কাঁচার দল।"
সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের এই তারকা নেত্রী আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন পড়ুয়াদের কথা ভেবে। বলেছেন, "একটাই এখন প্রার্থনা, যেহেতু এই বয়সের পড়ুয়াদের টিকাকরণ হয়নি, তাই এদের যেন আবার করোনা না হয়ে যায়। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, তারা এখন এই আশঙ্কাতেই ভুগছেন।" সঙ্গে এতদিন পর পড়ুয়াদের স্কুলে আশা নিয়ে করেছেন শুভকামনা। নিজেই বলেছেন, "আমার ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের জন্য রইল অফুরন্ত ভালোবাসা, স্নেহ এবং শুভকামনা।"