একুশের বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) শেষ হয়েছে আগেই। নুতন সরকারের শাসনকাল গত এক মাসের বেশি সময় ধরে চলছে। এর মধ্যেই পুরভোট (Municipality Election) নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। একটি সূত্র মারফত খবর, পুজোর আগে সেপ্টেম্বর নাগাদ পুরভোট হওয়ার সম্ভাবনা। যদিও কোভিড পরিস্থিতির (Covid-19) উপর সবকিছুই নির্ভর করছে মনে করছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর আগে কলকাতাসহ ১১৬ টি পুরসভার ভোট করিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে সূত্রের খবর।
গত কয়েক মাস আগে থেকেই পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। বর্তমানে পুরসভা গুলিতে প্রশাসকমণ্ডলী তৈরি করে কাজ চলছে। যদিও তাতে নানা অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে যত শীঘ্র সম্ভব পুরভোট না হলে আরও সমস্যা বাড়বে বলে মনে করছেন একাংশ। তার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে এখন যদি পুরভোট হয়, তাহলে রাজনৈতিক বাড়তি সুবিধা পেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এখনই পুরভোট করতে উদ্যোগী তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও সবক্ষেত্রেই বাধ সেধেছে কোভিড পরিস্থিতি।
অন্যদিকে এই মুহূর্তে ৬ টি আসনে উপনির্বাচন প্রয়োজন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে তাও শেষ করতে হবে। যদিও তার সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তবে রাজ্যের তরফে চাপ না থাকলেও সে প্রক্রিয়াও ঢিমে তালে চলতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। একদিকে পুরভোট, আর অপরদিকে বিধানসভার উপনির্বাচন সবই ঝুলে রয়েছে কোভিড পরিস্থিতির কারণে। তবে বিধানসভার উপনির্বাচন কবে হবে তা ঠিক করবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, তার আগে পুরভোট করিয়ে নিতে উদ্যোগী তৃণমূল কংগ্রেস বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই হয়েছে বিধানসভার নির্বাচন। এ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ থেকে শিক্ষা না নিয়ে যদি এখনই পুরভোটের কথা চিন্তা করা হয়, তাহলে পরিস্থিতি সামলানো মুশকিল হবে। যদিও এ বিষয়ে বাড়তি চাপ নিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সব পরিস্থিতি ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বর নাগাদ কিংবা কালীপুজোর পরপরই পুরভোট করতে উদ্যোগী তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। সব নির্ভর করছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের উপর বলছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।