গত বছরের মার্চ মাস থেকে বিশ্ববাসীর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে করোনা ভাইরাস (Corona Virus)। গোটা ১ বছরে মানুষ সাধারণভাবে জীবন যাপন করা ভুলতে বসেছে। এই মহামারীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চলছে বিশ্বজুড়ে টিকাকরন প্রক্রিয়া। তবে এরইমধ্যে প্যারিসে "পিস ফোরাম স্প্রিং" এর বৈঠকে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন "হু" (WHO) প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus)। তিনি বলেছেন, "টিকা বৈষম্যের মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্ব। উচ্চবিত্ত দেশগুলির জনসংখ্যা বিশ্বের ১৫ শতাংশ। অথচ তাদের কাছে বিশ্বের মোট টিকার ৪৫ শতাংশ আছে। অন্যদিকে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশগুলি জনসংখ্যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ। অথচ তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ১৭ শতাংশ টিকা। একাধিক উচ্চবিত্ত দেশ শিশু ও নাবালকদের টিকাকরণের পথে এগোচ্ছে। অন্যদিকে এখনো গোটা বিশ্বের বহু স্বাস্থ্যকর্মী, বৃদ্ধ মানুষরা টিকা পাইনি।"
অন্যদিকে ভারতে চলছে তৃতীয় পর্যায়ে টিকাকরন প্রক্রিয়া। কিন্তু একাধিক রাজ্যে টিকার যোগান দিতে পারছে না টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি। তাই কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের এক প্যানেল জানিয়েছিল যে যাদের একবার করোনা হয়েছে তারা সংক্রমণ সেরে ওঠার ৬ মাস পর টিকা নিলে কোন সমস্যা হবে না। কারণ সেই সময় শরীরে রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি থাকবে। এবার সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৯ মাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে সম্প্রতি একজন সরকারি আধিকারিক বলেছেন, "করোনা থেকে সেরে ওঠার পর প্রথম টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে মাঝের সময় বাড়ানোর কিছু নির্দিষ্ট প্রস্তাব রাখা হয়েছিল সরকারের কাছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক তা ৯ মাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সময়ের পর টিকা নিলে আরো বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।"
 
  
 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
    