২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে পৃথিবীর বুকে প্রথম আঘাত হেনেছিল করোনা ভাইরাস (Corona Virus)। প্রথমে চীন এবং চোখের পলকেই গোটা বিশ্বে এই মারণ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এখনও অব্দি এই রোগের আঘাতে নাজেহাল গোটা বিশ্ববাসী। চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে ভারতের বুকে এই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে লক্ষাধিক মানুষের। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO প্রধান ড: টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস দাবি করেছেন, "অতিমারির মধ্যে এখনকার সময়টা সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। ভারতে জন্ম নেওয়া করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিজের ভোলবদল করে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এই সমস্ত ভ্যারিয়েন্ট আগেকার তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতিকারক। যেভাবে সব দেশে এসব ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে তাতে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।"
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী গোটা বিশ্বের মধ্যে প্রায় ১০০ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নয়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যা আগের তুলনায় অনেক বেশি প্রাণঘাতী। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার উপদেশ দিয়েছে WHO। তাদের কথায়, "আগামী বছরের এই সময়ের মধ্যে প্রত্যেকটি দেশের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এই লক্ষ্যে পৌঁছানো না গেলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।" সেইসাথে WHO প্রধান আরও জানিয়েছেন, "শক্তিশালী ও পুঁজিপতি দেশগুলি করোনা ভ্যাকসিন কুক্ষিগত করার চেষ্টা করলে কোন লাভ হবে না। প্রত্যেকটি দেশ সমান পরিমাণ ভ্যাকসিন পেলে তবেই হয়তো সমস্যার সমাধান হবে।" এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রত্যেকটি দেশের প্রধানকে চিঠি পাঠিয়েছে।