করোনার সংক্রমণে (Corona Second Wave) বিপর্যস্ত গোটা দেশ। এই মুহুর্তে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ 'ভ্যাকসিন'। তবে এই ভ্যাকসিন নিয়েই সংকটের শেষ নেই। আঠারো ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা করা হলেও, এখনও পয়সা পয়তাল্লিশ ঊর্ধ্বদেরই ভ্যাকসিন দিয়ে শেষ করা গেল না। যদিও বহু রাজ্যেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত তোপ দেগেছিল। বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও (West Bengal)। এই পরিস্থিতিতে এবার লাগাতার করোনা সংক্রমণের আবহে বিদেশি ভ্যাকসিনে (Corona Vaccine) ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যাপারে বড়সড় শর্ত শিথিল করল কেন্দ্র।
এমনকি বিদেশি কোনও ভ্যাকসিনের ছাড়পত্রের জন্য আলাদা করে ভারতে ট্রায়াল দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না, কারণ ওই ভ্যাকসিন পূর্বেই বিদেশে ট্রায়াল দিয়েছে। পাশাপাশি আরও খবর, নির্দিষ্ট কিছু দেশ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনও ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিলে ভারতেও সেই টিকা জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র পেতে পারে, এমনটাই জানিয়ে দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI)।
প্রসঙ্গত, ভারতে করোনার সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া এবং পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাবের মধ্যে যদি বিদেশের থেকে আসা ভ্যাকসিন পুনরায় ভারতে ট্রায়াল দেয়। তাহলে তা খুবই সময় সাপেক্ষ হয়ে যাবে। কাজেই এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশি টিকাগুলি ভারতে ছাড়পত্র পাওয়ার ব্যাপারে আরও একধাপ এগিয়ে গেল নিজেদের মেলে ধরতে। এতে সায় আছে কেন্দ্রেরও। এ বিষয়ে এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে ডিসিজিআইয়ের প্রধান ভি জি সোমানি (V G Somani) জানিয়েছেন, "ভারতে এই মুহূর্তে প্রচুর টিকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দ্রুত টিকাকরণ কর্মসূচিও চালাতে হবে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" তবে এর ফলে টিকা নিয়ে যদি কেউ অসুস্থ হয়, তাহলে কী হবে? সূত্রের খবর জরিমানা সংক্রান্ত শর্তটিও দ্রুতই বাতিল করা হবে। অর্থাৎ ভ্যাকসিন নিয়ে কেউ অসুস্থ হলেও তার দায় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে নিতে হবে না।