চীন একটি সম্ভাব্য মারাত্মক নতুন ভাইরাস আবিষ্কার করেছে, যা ইঁদুরের দ্বারা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে বলে রিপোর্ট। দ্য তাইপেই টাইমস-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে তাইওয়ানের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বলেছে, "ল্যাংয়া" নামে পরিচিত ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস ইতিমধ্যেই ৩৫ জনকে সংক্রামিত করেছে, যদিও কেউ মারা যায়নি বা গুরুতর অসুস্থতার শিকার হয়নি।
সেই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ, ভাইরাসটি এখনও পর্যন্ত চীনের শানডং এবং হেনান প্রদেশে পাওয়া গেছে। এখনও মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। জ্বর, ক্লান্তি, কাশি, মাথাব্যথা এবং বমি-সহ ২৬ জন রোগী ফ্লু-এর মতো উপসর্গে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
নতুন এই ভাইরাসটি হেনিপাভাইরাস পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। যার দু'টি পূর্বে চিহ্নিত ভাইরাস রয়েছে। একটি হেন্ড্রা ভাইরাস এবং অন্যটি নিপা ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এর কোনো ভ্যাকসিন নেই এবং গুরুতর ক্ষেত্রে এটির মৃত্যুর হার ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
গত সপ্তাহে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত "চীনে ফেব্রিল রোগীদের মধ্যে একটি জুনোটিক হেনিপাভাইরাস" শিরোনামে একটি গবেষণায় নতুন হেনিপাভাইরাসের বিষয়ে আলোচনা হতে দেখা গেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, "রোগীদের মধ্যে কোন ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল না। এই গবেষণা থেকে জানা যায় মানব জনসংখ্যার সংক্রমণ বিক্ষিপ্ত হতে পারে।"
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ২৫ প্রজাতির বন্য ছোট প্রাণীর পরীক্ষা করা হয়েছে। ভাইরাসটি প্রধানত ইঁদুরের শরীরে (২৭ শতাংশ) পাওয়া গেছে। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, এই প্রজাতির ভাইরাস যেকোন সময় চরম আকার ধারণ করতে পারে।