চলতি বছরে করোনা (Corona) সংক্রমনের মাঝে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) রোগ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পাশাপাশি খবর পাওয়া যাচ্ছে হোয়াইট ফাঙ্গাস রোগেরও। বিশেষ করে এই রোগ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের হচ্ছে। এই মিউকর প্রজাতির ছত্রাক মানুষের শরীরের ফুসফুস ও অন্যান্য জরুরী অঙ্গে সংক্রামিত হয়ে ক্ষত সৃষ্টি করছে। এরফলে সময়মতো চিকিৎসা না হলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা হোয়াইট ফাঙ্গাস রোগে মৃত্যু অবধারিত। অবশ্য গতকাল অর্থাৎ সোমবার ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাস রোগের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে এক ব্যক্তির শরীরে ইয়েলো ফাঙ্গাস (Yellow Fungus) রোগ ধরা পড়েছে। তাহলে এখন একটাই প্রশ্ন, ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাস রোগের থেকেও কি বেশি ক্ষতিকর ইয়োলো ফাঙ্গাস?
ইয়েলো ফাঙ্গাস রোগ কি?
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ও হোয়াইট ফাঙ্গাস রোগের মতই এই ইয়েলো ফাঙ্গাস ছত্রাক ঘটিত রোগ যা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অন্যান্য ছত্রাকবাহিত রোগ সহজে ধরা পরলেও এই রোগের লক্ষণ কিছু সময় নাও বোঝা যেতে পারে। রোগের লক্ষণ প্রকাশের এমন বৈশিষ্ট্যের জন্য এই রোগটি অন্যান্য রোগের থেকে বেশী বিপদজনক হয়ে যেতে পারে।
ইয়েলো ফাঙ্গাস রোগের লক্ষণ:
১) ধীরে ধীরে ওজনের হ্রাস।
২) খিদে কমে যাওয়া বা না খাওয়ার ইচ্ছা।
৩) প্রবল শারীরিক ক্লান্তি।
৪) ক্ষতস্থান ঠিক হতে সময় লাগে। প্রভাব বেশি হলে সেই জায়গা থেকে পুঁজ বেরোনোর সম্ভাবনা থাকে।
৫) এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছুদিন বাদে চোখ ছোট হয়ে যাওয়া ও অপুষ্টি দেখা যায়। দীর্ঘদিন আক্রান্ত থাকার পর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ইয়োলো ফাঙ্গাস রোগের থেকে বাঁচার উপায়:
১) এই রোগ থেকে বাঁচতে আপনার বসতি এবং তার আশেপাশের অঞ্চল পরিষ্কার রাখুন।
২) কোনভাবেই খুলে রাখা বাসি খাবার গ্রহণ করবেন না।
৩) ঘরের আদ্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বেশি আদ্র জায়গায় ছত্রাক বেশি পরিমাণে সংক্রমিত হতে পারে। করোনা রোগীদের ঘর সর্বদা পরিস্কার এবং খোলামেলা রাখতে হবে।
৪) করোনা রোগীদের শরীরে উপরিউক্ত কোনো লক্ষণ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।