একজন বার্ধক্য-গ্রাসিত বৃদ্ধা। কাঁপা কাঁপা হাতে এক হাতা ভাত, স্মিত হাসি সহযোগে এগিয়ে দিচ্ছেন কোনও ক্ষুধার্তের পাতে। এমনই এক দৃশ্য কিছু মাস আগে আলোড়ন সৃষ্টি করে সংস্কৃতি মহলে। আসলে এটি 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' (Indubala Bhaater Hotel) ওয়েব সিরিজের প্রথম পোস্টার। ইন্দুবালার বেশে বৃদ্ধাকে দেখলে প্রাথমিক ভাবে স্বাভাবিক লাগলেও, পরক্ষণেই বোঝা যায় তাঁর আসল পরিচয়। অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলিকে (Shubhashree Ganguly) এই বৃদ্ধার বেশে দেখে, রীতিমত চমকিত হন অনুগামীরা। দেশভাগের ইতিহাস ও স্বজনহারার যন্ত্রণা নিয়ে কল্লোল লাহিড়ীর (Kallol Lahiri) বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে হইচই (Hoichoi) ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসতে চলেছে 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল'।
শুভশ্রী গাঙ্গুলিকে এতদিন দর্শক পেয়েছেন মূলত বাণিজ্যিক ছবিতে, আধুনিকার বেশে। 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' অবলম্বনে তৈরি ওয়েব সিরিজে তিনি ৭৫ বছরের বৃদ্ধা। এই সিরিজের মাধ্যমেই ওটিটি মাধ্যমে অভিষেক ঘটছে তাঁর। ২৫ বছর থেকে ৭৫ বছর, ইন্দুবালা চরিত্রের জীবন সংগ্রামের প্রতি ঘাত প্রতিঘাত ফুটে উঠবে পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যের (Debalay Bhattacharya) এই সিরিজটিতে। দেশভাগের পরবর্তী প্রেক্ষাপট এই উপস্থাপনার উপজীব্য। দেশ ভাগের পর পূর্ববঙ্গ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বুকে আশ্রয় নেন ইন্দুবালা ও তাঁর পরিবার। পরিবারের লালন পালনের জন্য, ইন্দুবালা সম্বল করেন তাঁর রন্ধন গুণকে। শুরু হয় তাঁর নতুন যাত্রা, যার চালক হয়ে ওঠে 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল'। তাঁর হাতের ছোঁয়ায় এপার বাংলার মানুষ খুঁজে পায়, ওপার বাংলার স্বাদ। যে স্বাদ শুধুমাত্র সুস্বাদু রন্ধনেরই নয়, বরং স্বজনহারার যন্ত্রণা, দেশভাগের শুন্যতারও ধারক।
![healthy food diet](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2021/05/23/photo-uploads/brooke-lark-jUPOXXRNdcA-unsplash.jpg)
![Rains বৃষ্টি](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/08/20/flood-965092_1280.jpg)
শুভশ্রীর এই অবতারে গুণমুগ্ধ সকল দর্শক। সবাই অপেক্ষা করে আছেন সিরিজটি দেখার জন্য। আগামী মার্চ মাসেই মুক্তি পাবে 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল'। কল্লোল লাহিড়ীর এই উপন্যাস পাঠকের মনে এক তীব্র ক্ষতর প্রভাব ফেললেও, সিরিজটি কতখানি দর্শকদের মনে প্রভাব ফেলবে এখন তারই অপেক্ষার পালা।