এবারে নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হলো অভিনেতা অঙ্কুশ এবং অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলার সহকারী পিন্টু দে ওরফে বাপ্পাদার ঝুলন্ত দেহ। জানা যাচ্ছে গতকাল রাতে কাকুরগাছিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, এটি সাধারণ আত্মহত্যার ঘটনা। পিন্টুর কাছে নিয়মিত টাকা চেয়ে ফোন আসতো। তবে এই ফোনের ব্যাপারে বর্তমানে খোজ চালাচ্ছে পুলিশ। অঙ্কুশ এবং ঐন্দ্রিলার ছায়া সঙ্গী হিসাবে কাজ করতেন পিন্টু। রাত্রে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই অঙ্কুশ এবং ঐন্দ্রিলা গিয়ে পৌঁছান পিন্টুর বাড়িতে। সেখানে তারা বাড়ির লোকেদের পাশে থাকার চেষ্টা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অঙ্কুশ ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি লেখেন, আমি যদি আগে জানতাম তাহলেই আমি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারতাম।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, পিন্টুর কাছ বেশ কিছুদিন ধরে টাকা চেয়ে ফোন আসতো। বিগত কিছুদিনের মধ্যেই ব্যাংক একাউন্ট থেকে ৩০,০০০ টাকা মতো তুলে অন্য কারো ব্যাংকে দেওয়া হচ্ছে। আর তার ফলেই মানসিক অবসাদের শিকার হন পিন্টু। অভিনেতা অঙ্কুশ জানালেন, "আমার কাছ থেকেও বার কয়েক টাকা নিয়েছে। আমাকে বলত ধার শোধ করার জন্যই এই টাকা নেওয়া। তাই আমি আর কখনো বাধা দিইনি। যখন টাকা চেয়েছে দিয়ে দিয়েছি। টাকা চাওয়ার আসল কারণ জানলে এত তাড়াতাড়ি চলে যেতে দিতাম না।" অন্যদিকে ঐন্দ্রিলা দুঃখে বলছেন, "কিভাবে এমন কাজ করতে পারলো বাপ্পা দা? নিজের মা, এবং বোনকে ফেলে রেখে চলে গেলো!"