শিক্ষক নিয়োগের (SSC Scam) বির্তক ঘিরে উত্তাল গোটা রাজ্য। সরব আমজনতা থেকে বিরোধীরা। এর মাঝেই মানিক ভট্টাচার্যের জায়গায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি হয়েছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গৌতম পাল। একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে ১১ জনের নতুন একটি অ্যাড হক কমিটিও গড়েছে রাজ্য।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে বড় ঘোষণা করলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গৌতম পাল। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে গৌতমবাবু জানান, “এবার থেকে প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময় টেট হবে। নিয়োগে কোনও অস্বচ্ছতা থাকবে না। আমাদের নীতি হবে ‘জিরো গ্রিভান্স’।”
গৌতমবাবু আরও জানিয়েছেন, কোনও চাকরিপ্রার্থীর মনে কোনওরকম সংশয়, প্রশ্ন থাকলে তা তিনি দূর করবেন। প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন পর্ষদের সভাপতি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪-এর প্রাইমারি টেট নিয়ে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা না দিয়েই চাকরির অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই অভিযোগের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। সিবিআই তদন্তে নেমে তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে কাঠগড়ায় তোলে। তাঁর নামে এফআইআর পর্যন্ত দায়ের করেছে সিবিআিই। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের কথা মতোন, মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হন মানিক ভট্টাচার্য। নতুন দায়িত্ব পান কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য গৌতম পাল।