২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে সর্বভারতীয় স্তরের সমস্ত মেডিকেল এবং ডেন্টাল কোর্সে নয়া নিয়ম চালু করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ ট্যুইট করে নরেন্দ্র মোদী জানালেন, এবার ডাক্তারি শিক্ষাতেও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়ারা সংরক্ষণ পাবে। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় কোটায় ডাক্তারিতে ভর্তির ক্ষেত্রে OBC-রা সংরক্ষণ পাবেন ২৭ শতাংশ এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিরা সংরক্ষণ পাবেন ১০ শতাংশ। এর ফলে গোটা দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মেডিক্যাল পড়ুয়া উপকৃত হবেন বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তে নারাজ দেশের অধিকাংশ মানুষ।
একদিকে পূর্বের নিয়ম মেনে চলা অন্যান্য ক্ষেত্রে সংরক্ষণের এই নিয়ম বন্ধ করার দাবিতে সাধারণ শ্রেণির মানুষ। তার উপর নতুন করে সর্বভারতীয় স্তরের সমস্ত মেডিকেল এবং ডেন্টাল কোর্সে এমন সংরক্ষণ মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। তাঁদের যুক্তি, মেধাই শেষ কথা। কোনও সংরক্ষণের প্রয়োজন হয় না। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, এর ফলে প্রতিবছর হাজার হাজার পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীর কাছে দিগন্ত খুলে যাবে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে চলতি ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকেই চালু হয়ে যাবে নতুন এই সংরক্ষণ পদ্ধতি। কেন্দ্রের দাবি, "সেই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ৫,৫০০ পড়ুয়া এমবিবিএসে ১,৫০০ জন এবং স্নাতকোত্তরে ২,৫০০ জন ওবিসি পড়ুয়া, এমবিবিএসে ৫৫০ জন এবং স্নাতকোত্তরে ১,০০০ জন আর্থিকভাবে দুর্বল পড়ুয়া উপকৃত হবেন। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পড়ুয়া এবং আর্থিকভাবে দুর্বল প্রার্থীদের পর্যাপ্ত সংরক্ষণ দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সরকার।"
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "সর্বভারতীয় কোটা কর্মসূচির আওতায় বর্তমান শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে সমস্ত মেডিকেল এবং ডেন্টাল কোর্সে ওবিসিদের ২৭ শতাংশ এবং আর্থিকভাবে দুর্বল প্রার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের সরকার, তা মাইলফলক হয়ে থাকবে। সেই সংরক্ষণের ফলে প্রত্যেক বছর আমাদের দেশের হাজার-হাজার ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত উপকৃত হবেন। যা আমাদের সামাজিক ন্যায়ের ক্ষেত্রে নয়া দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।"