একটা সময় ছিল যখন এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ছিল বাঙালি বেকারদের ক্ষেত্রে। কিন্তু ধীরে ধীরে এই এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের গুরুত্ব কমতে শুরু করে। ধীরে ধীরে চাকরিপ্রার্থীর পরিমাণ বাড়তে শুরু করে এবং এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের গুরুত্ব প্রায় শেষ হয়ে যায়। তবে এক্সচেঞ্জের ধারণা এখনো পর্যন্ত অবলুপ্ত না হলেও শুরু করা হয়েছে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক। এই ব্যাংকের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থী তথ্য তুলে আবেদন করা যায়। অন্যদিকে কোন সংস্থা যদি চাকরি দিতে চায় তাহলে সেই তথ্য থেকে জেনে চাকরি দেওয়া সম্ভব। তবে পুরোপুরি কর্মসংস্থান এখনো হয়নি। এই কারণে চালু হয়েছে যুবশ্রী প্রকল্প যাতে মাসে দেড় হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের। যাদের ভাতা দেওয়া হয় না তাদের অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়।যদি কোন ব্যক্তি চাকরি পেয়ে যান তাহলে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংক থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।


নবান্নের ঘোষণা গত কয়েক বছরে এক লক্ষ আটশো র মতো প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে এই পদ্ধতিতে। কিন্তু বিরোধী দল নবান্নের এই ঘোষণার বিরোধিতা করেছেন। তারা দাবি জানিয়েছেন এই যুবশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে স্বজনপোষণ করা হয়। নিজের মানুষকে টাকা পাইয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল দাবি করেছে, সমস্ত কিছু অনলাইনের মাধ্যমে এবং পোর্টালের মাধ্যমে হয়ে থাকে, এই কারণে কোন অসৎ উপায়ের অবকাশ এখানে নেই। অন্যদিকে বিজেপি বারবার বলছে, এরকম ভাতা দেওয়ার প্রকল্প ঘোষণা না করে বরং শিল্প আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করলে ভালো করতে রাজ্য সরকার। নবান্নের রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে আপাতত এক লক্ষ কর্মপ্রার্থীকে যুবশ্রী প্রকল্পের ভাতা দেওয়া হয়। আমাদের মত জনবহুল দেশে প্রত্যেক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্যতম বড় ইস্যু থাকে বেকার সমস্যা। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু এবারে দেখার বিষয় বেকার সমস্যা এবং যুবশ্রী প্রকল্প ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব ফেলে।