এলাকায় পানীয় জলের (drinking water) কল থাকা সত্ত্বেও তা দিয়ে পড়ে না জল। এমনই চিত্র দেখা গেল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার নবগ্রাম ব্লকের রাইনডা গ্রামে। পানীয় জলের আকালে (water scarcity) নাকাল স্থানীয় এলাকাবাসী।
সূত্রের খবর, মাস ছয়েক আগে পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের (PHE Scheme) আওতায় নবগ্রাম ব্লকের শিবপুর পঞ্চায়েতের রাইনডা গ্রামের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিল পানীয় জলের ট্যাপ (Tap)। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, অমৃতকুণ্ড জল সরবরাহ কেন্দ্র থেকে দিন দুয়েক পানীয় জল সরবরাহ করা হলেও তার পর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে ট্যাপে জল আসা। যদিও এখনও পর্যন্ত জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনের কোনও হদিশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে সেই থেকেই প্রবল জলকষ্টে পড়েছেন এলাকার সাধারন মানুষ। জানা গিয়েছে, রাইনডা গ্রামে হাজারেরও বেশি পরিবার রয়েছে। তাঁদের সকলেই পড়েছেন চরম সমস্যায়। এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছেন, জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁদের সেই আগের মতো দূরে অন্য মানুষের বাড়ি থেকে জল এনে খেতে হচ্ছে। তবে সেখানেও রয়েছে সমস্যা। কারন সেই জলও আর্সেনিক (Arsenic), আয়রন (Iron)-সহ নানান প্রদূষক যুক্ত। সে কারনে নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়েও বেজায় চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।
তবে সরকারী প্রকল্পের আওতায় পরিষেবা না পাওয়ায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। তাঁরা সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, পানীয় জলের পরিষেবা পাওয়ার জন্য ১০০ টাকা করে দেওয়া সত্ত্বেও জলের দেখা নেই! সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে পানীয় জল। সে জন্য বসানো হয়েছিল ট্যাপও। তবে এখনও তাতে জলের সন্ধান নেই। পাশাপাশি অন্যের বাড়িতে জল আনতে গিয়েও দুর্ব্যবহারের সম্মুখীন হচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন এলাকাবাসীদের একাংশ।
তবে এই ঘটনায় অন্য সুর শোনা গেল শিবপুর পঞ্চায়েতের প্রধান আবদুল মুক্তাদির গলায়। তিনি জানিয়েছেন, দোষ সরকারের নয়, দোষ পিএইচই দপ্তরের (PHE Department)। তিনি বলেছেন, ইতিমধ্যেই পিএইচই দপ্তরে দু’বার চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা। সেখান থেকে খবর পাওয়া গেছে, সমস্ত যন্ত্রপাতি চলে এলেই পুনরায় শুরু হয়ে যাবে পানীয় জলের সরবরাহ।
তবে দু’পক্ষের এই চাপানউতোরের মাঝখানে ফেঁসে রয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। চাতকের মতো জলের আশায় দিন গুনছেন সাধারন রাইনডাবাসী।