হাতে বন্দুক নিয়ে মহিলাদের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন তৃণমূলশাসিত পঞ্চায়েত প্রধানের দাদা। আর তা নিয়ে আতঙ্কে দৌড়ে পালাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। এ রকমই একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে এবং তার জেরে প্রকাশ্যে চলে এলো আবার তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। দেগঙ্গার চাপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোসাইপুর গ্রামের এই ঘটনা। গ্রামবাসীর অভিযোগ জানিয়েছেন, অঞ্চল সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক এর সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরীর দ্বন্দ্বের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে চাপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানিয়েছেন, সকালবেলা গোসাইপুর গ্রামে শহিদুল ইসলামের বাড়ির উপরে চড়াও হয়েছিলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরীর অনুগামীরা। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন হুমায়ুন রেজা চৌধুরীর দাদা হাসান রেজা চৌধুরী। তিনি এয়ারগান নিয়ে মহিলাদের দিকে তেড়ে যান বলে অভিযোগ। এমনটাই দেখা গিয়েছে ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিও তে।
তবে, স্থানীয় তৃণমূল সূত্রের খবর, শহিদুল ইসলাম তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আবদুল রাজাকের অনুগামী। এলাকায় চাপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত হুমায়ুন রেজা চৌধুরীর সঙ্গে আব্দুল রাজ্জাকের দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলছে। রবিবার সকালে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে সরব হয়েছিলেন হুমায়ুন রেজা চৌধুরীর অনুগামীরা। তার সঙ্গে উপরি পাওনা ছিল হাসান রেজা চৌধুরীর সঙ্গে এয়ারগান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। যদিও দাদা হাসান রেজা চৌধুরীর হাতে বন্দুক মেলার ঘটনায় হুমায়ুন রেজা চৌধুরী সাফাই দিয়েছেন, তার দাদা একটি ভেরি এলাকায় পাখি শিকার করছিলেন ওই বন্দুক দিয়ে। তিনি কাউকে ওই বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেননি। তিনি পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছেন, শনিবার রাতে শহিদুল ইসলামের জামাই শেখ মহিদুল্লা এলাকার একজন ভ্যান চালকের ওপর চড়াও হয়ে ছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে, রবিবার সকালে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তিনি সাফাই দিয়েছেন, এতে কোনো রকম দলীয় কোন্দল নেই।