বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পরে একাধিক তৃণমূল বিধায়ক দল ছেড়েছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন নদীয়ার তেহটটো এর বিধায়ক গৌরী শঙ্কর দত্ত এবং তপনের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। তারা দুজনেই টিকিট না পাওয়ার কারণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। এবারে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করে দিলেন গৌরী শঙ্কর দত্ত। গৌরীশংকর বাবু বললেন, "২১ বছর তৃণমূল কংগ্রেস আমাকে কোনরকম সৌজন্যতা দেখায়নি। আমি বিজেপিতে একজন কর্মী হিসেবে কাজ করব।"
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে এদিন বহু বিধায়ক বিজেপিতে নাম লেখালেন। এছাড়াও অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত, প্রাক্তন কাউন্সিলর নাসরিন খাতুন, জেলা পরিষদের সদস্য প্রবীর দাস, প্রাক্তন কাউন্সিলর চৈতালি বিশ্বাস, অরিজিৎ ঘোষ, দেবানন্দ শর্মা, সুপ্রীতি চট্টোপাধ্যায়, রাজা রায় চৌধুরী এবং রতন বিশ্বাস বিজেপিতে যোগদান করেন। প্রসংগত উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে যখন মহুয়া মৈত্র নদীয়া থেকে জয়লাভ করেন তারপর থেকেই দলে ধীরে ধীরে কোণঠাসা হতে শুরু করেন গৌরী শঙ্কর দত্ত। আস্তে আস্তে জেলা কমিটির সমস্ত রাশ চলে আসে মহুয়া মৈত্রের হাতে।
এরপর থেকেই গৌরী শঙ্কর দত্ত এবং মহুয়া মৈত্র এর একাধিকবার সংঘাত সামনে এসেছে। এবার টিকিট না পাওয়ায় প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। যদিও, বর্তমানে নদীয়াতে ভারতীয় জনতা পার্টির জনপ্রিয়তা বেশ ভালোই। তৃণমূল কংগ্রেসের ভিত গত লোকসভা নির্বাচনে অনেকটাই নড়ে গেছে। রানাঘাট লোকসভা আসন তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে। অন্যদিকে, কৃষ্ণনগর আসন থেকে মহুয়া মৈত্র জয়লাভ করলেও ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে কিন্তু ফলাফলের নিরিখে বেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সালেও তেহটটো থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন গৌরীশংকর। কিন্তু পরিবর্তনের ঝড় চলা সত্বেও সেখানে তিনি সিপিআইএমের কাছে হেরে যান। তারপর ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয় বিধায়ক হন। তবে এবারে এই আসনে প্রার্থী বদল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গৌরীশংকরের পরিবর্তে এখানে প্রার্থী রাখা হয়েছে তাপস কুমার সাহা কে।