একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। কোন রাজনৈতিক দল চায় না যে নির্বাচনের আগে তাদের প্রস্তুতিতে কোন খামতি থেকে যায়। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস একুশের হেভিওয়েট নির্বাচনী লড়াই জেতার জন্য কার্যত দিনরাত এক করে ভোটযুদ্ধের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ৫ মার্চ ২৯৪ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছিল। তবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর থেকে বিক্ষিপ্তভাবে রাজ্যের কিছু অংশে দলীয় কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের খবর পাওয়া গেছে। তাই হঠাৎ করেই আজ অর্থাৎ শুক্রবার ঘাসফুল শিবির তাদের ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করেছে।


তৃণমূল কংগ্রেস তাদের ৪ টি কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করেছে। এই চারটি কেন্দ্র হল নদিয়ার কল্যানী, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর ও আমডাঙা এবং বীরভূমের দুবরাজপুর। নদীয়ার কল্যাণীতে রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের জায়গায় তৃণমূল সৈনিক হিসাবে লড়াই করবেন অনিরুদ্ধ বিশ্বাস। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে নতুন তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন অভিজ্ঞ ও দক্ষ নেতা নারায়ন গোস্বামী। বঙ্গ রাজনীতিতে তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। অন্যদিকে, আমডাঙায় মুস্তাক মোর্তজার পরিবর্তে নতুন তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন রফিকুর রহমান। এছাড়া বীরভূমের দুবরাজপুরে একুশে নির্বাচনে অসীমা ধীবরের পরিবর্তে ঘাসফুল সৈনিক হয়েছেন দেবব্রত সাহা। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পরেই বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল অসীমা ধীবরকে প্রচারে বেরোতে নিষেধ করেছিলেন।