অপেক্ষার অবসান। এদিন উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজ খোলার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিবকে এই বৈঠক থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন, পুজোর মরশুম শেষ হতেই, অর্থাৎ ছট পুজোর পর স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার জন্য করোনাবিধি মেনে সমস্ত প্রস্তুতি নিতে। অর্থাৎ সমস্ত অপেক্ষার অবসান। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবনা মতোই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য সবুজ সংকেত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৫ নভেম্বরের পরেই খুলবে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
মুখ্যমন্ত্রীর এমন নির্দেশ শুনেই বেশ খুশি অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের অধিকাংশ। হাসি ফুটেছে মেধাবী পড়ুয়াদের মধ্যে। এবছর করোনা পরিস্থিতি যখন আয়ত্তে ছিল, তখন থেকেই প্রায় ৮০ শতাংশ পড়ুয়াদের ইচ্ছে ছিল ভ্যাকসিন দিয়ে এবং পর্যাপ্ত কোভিড বিধি মেনে অবলম্বে চালু করা হোক ক্যাম্পাস। এ নিয়ে অশান্তি কম হয়নি। তবে এবার আশার আলো দেখতে পেল পড়ুয়ারা। যদিও তাদের মধ্যে সংশয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দু'দিনের মধ্যেই যেন তা অজুহাত দেখিয়ে বন্ধ না হয়। বরং উপযুক্ত কোভিড বিধি মেনেই যেন চলে অফলাইনে ক্লাস।
উল্লেখ্য, অগস্ট মাসে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেন, পুজোর পর একদিন অন্তর স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। এবার সেই দিকেই কার্যত আরও একধাপ এগোল রাজ্য। পুজোর পর রাজ্যে স্কুল খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের নির্দেশ, কালীপুজোর মধ্যে ক্লাস উপযোগী করে তুলতে হবে স্কুলগুলিকে। বলাবাহুল্য, ইতিমধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা স্কুল সারাইয়ের জন্য ১০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। যা মোট ৬ হাজার ৪৬৮টি স্কুলকে দেওয়া হয়েছে।