বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে আজ ঝাড়গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এদিন মমতার সঙ্গে ছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব। ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। বেলা ১২টায় ঘাটালে পৌঁছে জলে নেমে বুঝলেন পরিস্থিতির গুরুত্ব। জলে থেকেই উপস্থিতরত প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে সেরে নিলেন প্রয়োজনীয় আলোচনা। তবে ঘাটালে নেমে অনুকূল ঠাকুরের আশ্রমে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে মন্দিরের পুরোহিতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আশ্রমের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন কিছু মানুষ। তাঁদের ত্রাণ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরপরেই ঘাটালের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, "বার বার কেন্দ্রকে বলেছি। কিন্তু তার পরেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন দিচ্ছে না কেন্দ্র। এ রকম হলে বার বার বন্যা হবে। কেন্দ্রের কাছে আবার মাস্টার প্ল্যানের দাবি জানাব। পরিকল্পিত ভাবে বন্যা করা হচ্ছে। ৫০০ কোটি টাকায় চেকড্যামগুলি তৈরি হয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনা করে কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনকে আরও বেশি কাজ করতে হবে। আরও অনেক ক্যাম্প তৈরি করতে হবে। ঘাটালের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। বিমান থেকে সব দেখলাম। ছবিও তুলেছি। কলকাতায় ফিরে গিয়ে রিপোর্ট তৈরি করব।"
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি পরিস্থিতি নিয়ে কার্যত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। ঘাটালের এই ভয়াবহ অবস্থার জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেছেন মমতা। একে ‘ম্যান মেড’ বন্যা হিসেবেও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন দেব আরও বলেন, "এখানে যে যে ব্রিজগুলো রয়েছে, তা খুব তাড়াতাড়ি মেরামত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। বন্যা পরিস্থিতি মেকাবিলায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আমরা অনেক দিন ধরেই লড়াই করছি। দিল্লিতে গিয়ে প্রচুর বৈঠকও করেছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। কেন্দ্র রাজ্য দ্বন্দ্বের জন্যই এই কাজ আটকে রয়েছে। আমার এখনও মনে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন, তবে ঘাটালের মানুষ ভীষণভাবে উপকৃত হবেন।"