কিছুদিন আগে নবান্ন অভিযানে গিয়ে পুলিশের মারে মৃত্যু হয়েছিল DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দার। তার মৃত্যুর পর সেই নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। তখন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে মৃতের পরিবারের একজন চাকরি পাবে। এবার ঘোষণার তিন দিনের মধ্যেই নিহতের স্ত্রীয়ের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিল সরকার। তাকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্পেশাল হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে এই চাকরি নিতে নারাজ হয়েছে মৃতের পরিবার। তবে তার স্ত্রী আল হাবিবি জানিয়েছেন যে তাকে যে চাকরি দেয়া হয়েছে তাতে তিনি বেশ সন্তুষ্ট।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাঁকুড়ার কোতুলপুর গ্রামের চোরকোলা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মইদুল ইসলাম মিদ্দা। তিনি পেশায় অটোচালক ছিলেন। তিনি অটো চালিয়ে তার সংসারের ৫ জনের ভরণ পোষণ করতেন। তিনি অঞ্চলের বামপন্থী যুব সংগঠন অর্থাৎ DYFI এর সক্রিয় কর্মী ছিলেন। নবান্ন অভিযান এসে তার মৃত্যুতে রীতিমতো পথে বসেছে তার পরিবার। তবে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী পরিবারের একজনকে চাকরির কথা বললে আলেয়া বিবি দাবি করেছিলেন যে তাকে স্বল্পমূল্যের চাকরি দিলে চলবে না। সেই কথা মেনে তাকে পুলিশের হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছে। আজ অর্থাৎ শুক্রবার জেলাশাসক, এসপি ও স্থানীয় মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা মিরদার বাড়ি গিয়ে তার স্ত্রীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে এসেছে। দ্রুত চাকরিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন আলেয়া বিবি।