একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব ক্রমশ চরমে উঠেছে। নির্বাচনী ঠিক কিছুদিন আগে রাজ্যের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। এরইমাঝে ফের তৃণমূল ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, "বিজেপি বাংলায় ১০০ এর বেশি আসন পেলে আমি ভোটকুশলীর কাজ ছেড়ে দেবো।" অবশ্য এরকম চ্যালেঞ্জে তিনি প্রথমবার দিয়েছেন এমন নয়। এর আগেও প্রশান্ত কিশোর টুইট করে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল যে গেরুয়া শিবির একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দুই অঙ্কের সংখ্যা পার করতে পারবে না। এরপর আবারও একই সূত্রে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন পিকে।
পিকে এবার বলেছেন, "বাংলায় বিজেপি ১০০ আসন পেরোতে পারবে না। আর যদি পেরিয়ে যায় তাহলে আমি ভোটকুশলীর পেশা ছেড়ে দেব। আই প্যাকও ছেড়ে দেবো। বিজেপি জিতলে পেশা বদলে ফেলবো আমার। আর কোন ভোট প্রচারে আমার মুখ দেখতে পারবেন না আপনারা।" কিন্তু তার এই চ্যালেঞ্জ এর সাথে সাথে বেশ কিছুদিন ধরে বঙ্গ রাজনীতিতে তার উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে হারের সমালোচনা চলছে। সেই সমালোচনার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, "আমি উত্তরপ্রদেশে হেরেছিলাম কারণ ওখানকার রাজনৈতিক দল আমার কথা শুনে চলেনি। কিন্তু বাংলা নিয়ে আমার এমন কোনো অভিযোগ নেই কারণ দিদি আমাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়েছে। এরপর যদি নির্বাচনে হেরে যায় তাহলে মনে করতে হবে আমি আমার কাজের যোগ্য নয়।" এছাড়াও তিনি এদিন মমতার বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, "শুভেন্দু অধিকারী কত বড় নেতা, তা ২ মে এর পর সমস্ত বুঝে যাবে বাংলার মানুষ।"