সারা বছরের আশায় ছাই পড়ল বহু শিল্প–সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ, সাধারণ পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের৷ এ বছর হচ্ছে না শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা৷ সোমবার বিশ্বভারতীর কোর্ট কমিটি এই সিদ্ধান্তই নিয়েছে৷
করোনা পরিস্থিতিতে পৌষমেলা হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ণ ছিলই৷ এদিনের অনলাইন বৈঠকে উপস্থিত কোর্ট কমিটির ৭০ জন সদস্যের অধিকাংশই মেলা বন্ধ রাখার কথা বলেন৷ যদিও ঠিক হয়েছে, অল্প মানুষকে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথারীতি ৭ পৌষ বিশ্বভারতীতে পালিত হবে পৌষ উৎসব৷
১৮৯১ সালের ৭ পৌষ শান্তিনিকেতনে উপাসনা মন্দির স্থাপিত হয়৷ দিনটি ছিল মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দীক্ষা দিবসের বাৎসরিক৷ সেই উপলক্ষে শুরু হয় পৌষ উৎসব৷ এরপর ১৮৯৪ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিনে পৌষমেলার সূচনা হয়৷
এর আগে আরও দু’বার ১৯৪৩ ও ১৯৪৬ সালে যথাক্রমে মন্বন্তর ও সাম্প্রদায়িক অশান্তির কারণে বন্ধ রাখতে হয়েছিল পৌষমেলা৷
ছাত্রছাত্রী সহ বহু মানুষ এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করলেও নিরানন্দের ছায়া অনেক পৌষমেলাপ্রেমী মানুষের মুখে। গ্রামীণ দরিদ্র যেসব হস্তশিল্পীরা তাঁদের তৈরি শিল্পকর্ম দেশ–বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পান পৌষমেলায়, মন ভাল নেই তাঁদেরও৷