আজ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকীতেও ফের একবার তরজায় বর্ণপরিচয় বিতর্ক। তবে এবার বাবুল নয়, এই দিনটিকেই হাতিয়ার করে পাল্টা জবাব দিয়ে দিলীপ ঘোষ বললেন, "যাঁরা রাজনীতির বর্ণপরিচয় পড়লেন না, তাঁদের থেকে কী শুনব?" প্রসঙ্গত, বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী বাবুল সুপ্রিয়, দিলীপ ঘোষ প্রসঙ্গে প্রথমসারির একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, "দিলীপবাবুর মন্তব্যের কোনও জবাব আমি দেব না। তবে দিলীপদার সঙ্গে দেখা হলে আমি তাঁকে বর্ণপরিচয় উপহার দেব। আমার মনে হয় দিলীপদাকে বাংলা ভাষা নতুন করে শিখতে হবে। উনি যেটা বলেন, সেটা বাংলা নয়। উনি বাংলা ভাষাকে কলুষিত করেন। ভদ্র বাংলা ভাষা কী সেটা ওঁনার জানার প্রয়োজন আছে।"
ওইদিন একথার পাল্টা জবাব না দিলেও এদিন দিলীপ ঘোষ গর্ব করে বলেন, "আমরা মেদিনীপুরের লোক। বিদ্যাসাগরও মেদিনীপুরের।"
প্রসঙ্গত, অন্যান্য দিনের মতোই এদিনও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই বাবুল সুপ্রিয়কে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, "যাঁরা বর্ণপরিচয় পড়েননি, তাঁরা পড়ুন। আমরা মেদিনীপুরের লোক। বিদ্যাসাগরও মেদিনীপুরের। বিদ্যাসাগর থেকে বর্ণপরিচয় আমরা কেন সারা দেশ পড়েছে। যাঁরা রাজনীতির বর্ণপরিচয় পড়লেন না, তাঁদের থেকে কী শুনব?"
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদের মেয়াদ শেষ হতে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষের পূর্বের পদ সামলাচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার। আর এদিকে ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তবে আচমকাই ফুলবদল করতে, বারংবার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসছে বাবুল-দিলীপ সংঘাত।