পুজোর কিছুদিন আগেই হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল এবারের পুজো মন্ডপগুলি থাকবে দর্শকবিহীন। সেই নিয়ম মানলেও এই পরিস্থিতিতেও রাস্তাঘাটে পুজোর দিনগুলোতে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। ষষ্ঠী সপ্তমী আবহাওয়া খারাপ থাকায় মানুষজন বিশেষ বেরোননি কিন্তু অষ্টমী থেকে দশমী দূরত্ব বিধির কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে মানুষের দেখা গেল রাস্তাঘাটে। বনগাঁ,বসিরহাট, ক্যানিং-গোসাবা, ডায়মন্ডহারবার, পুরুলিয়া, ঝালদা, বাঁকুড়া, বিষ্ণু ইত্যাদি জায়গাগুলিতে নবমীর রাতে উপচে পড়া ভিড় ছিল।
হাইকোর্টের নির্দেশানুযায়ী এই পরিস্থিতিতে শুধু পুজোমন্ডপ নয়, অঞ্জলী, সিঁদুরখেলা বা ভাসানেও ভিড় করা যাবেনা। কিন্তু পুরুলিয়া শহরের একটি পুজোতে সেখানকার মহিলারা মাস্ক পড়েই সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। বিসর্জনের ক্ষেত্রেও কিছু কিছু জায়গায় নিয়মবিধি না মানতে দেখা গেছে। যেমন বান্দোয়ানের চিলা গ্রামের একটি পুজোয় ঠাকুর ভাসানে যোগদেন প্রায় শতাধিক মানুষ। আদ্রা, পুরুলিয়া এই সমস্ত জায়গাতে অধিকাংশ ঠাকুর বিসর্জন হয়েগেলেও অপেক্ষাকৃত বড় পুজোগুলি ঠাকুর আজ বুধবার বিসর্জন যাবে।
শুধু দূর্গা পুজো নয়, সোমবার রাবণ বধ ও দশেরা উৎসবেও দেখা গেল ঠাসা ভিড়। মিশ্র সংস্কৃতির শহর খড়গপুরে প্রতিবারই দশেরা উৎসব খুবই জাঁকজমক ভাবে পালিত হয়। কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতিতেও যে পরিমাণ মানুষ এই উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন তা সত্যিই চিন্তনীয় বিষয়।