পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফল ঘোষণা পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত। জয়ী বিধায়কদের শপথগ্রহণ, নতুন মন্ত্রিসভা গঠন, প্রধান বিরোধী দলনেতা নিয়ে তরজা কিংবা করোনা আতঙ্ক নিয়ে দিনভর আলোচনা চললেও সাধারণ ভোটারদের প্রতি প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে নীরব সব পক্ষ। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে পালাবদলের প্রধান মুখ ছিল নন্দীগ্রাম, আবার একুশের নির্বাচনে সব পক্ষের কেন্দ্রবিন্দু ছিল সেই নন্দীগ্রাম। দুই যুযুধান প্রধান শক্তির মাঝে একা লড়েছেন সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখার্জি। নির্বাচন শেষ হয়েছে, ভোটের ফলে শাসকদল ফের মসনদে, নন্দীগ্রামের 'ভূমিপুত্র' বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন কিন্তু নন্দীগ্রাম থেকে সেই অশান্তি দূর হয়নি। ফল ঘোষণার পর এই প্রথম একমাত্র মীনাক্ষী মুখার্জিকে দেখা গেল নন্দীগ্রামের মাটিতে। একহাতে বুক চিতিয়ে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তিনি।
গতকাল রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক হিংসা ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন বন্ধে এবং এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংযুক্ত মোর্চার ডাকে মিছিলে ছিলেন সেই মীনাক্ষী মুখার্জি। সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ভোটের ফল ঘোষণা পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা বন্ধে সরব হয়েছেন ফের সেই মীনাক্ষী মুখার্জি। নন্দীগ্রামের আনাচে-কানাচে লাল ঝান্ডা হাতে ফের দেখা গেল সেই মীনাক্ষী মুখার্জিকে। মিছিল শেষে তিনি মানুষের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন, "ভোটের প্রচারের সময় এখানকার মানুষ বলেছিলেন, নন্দীগ্রাম অশান্তির জায়গা নয়। নন্দীগ্রামকে যেন আর অপমানিত হতে না হয়, তোমরা দেখো। এখন নতুন সরকার তৈরি হয়েছে, নতুন বিধায়ক হয়েছেন, তবু বাজারে মানুষ সন্ত্রস্ত, আতঙ্কিত। সবাই ভয়ে আছেন, দেখে নিচ্ছেন কার পাশে দাঁড়িয়ে আছি। কেন এমন অবস্থা হবে?’’
এবারের নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার তরফে এক ঝাঁক তরুণ তরুণীদের নামিয়েছিল সিপিএম। আসন 'শূন্য' পেলেও ফের মাঠে ময়দানে সেই সিপিএমের তরুণ তরুণীদের দেখা যাচ্ছে। নন্দীগ্রামের মাঠে নেমে সিপিএম মানুষের কাছে সেই বার্তা দিতে চায় বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।