দেশজুড়ে পেট্রোপণ্যের মূল্য একেবারে আকাশ ছোঁয়া। এবার এরকম পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়া গান্ধী তার চিঠিতে কেন্দ্রকে লিখেছেন, "আমজনতার কষ্টের টাকা থেকে লাভের মুখ দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।" তার কটাক্ষ, আন্তর্জাতিক বাজারে কিন্তু তেলের দাম খুব একটা বেশী বাড়েনি। কিন্তু তার পরেও দেশের বাজারে কেন বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম? এই নিয়ে তার বক্তব্য, "দেশে বর্তমানে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গেছে জ্বালানি দ্রব্যের দাম। কিছু কিছু শহরে তো জ্বালানির দাম সেঞ্চুরি পেরিয়ে গিয়েছে। ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে আস্তে আস্তে। ফলে, কৃষকদের দুর্দশা আরো বাড়বে।" পাশাপাশি কংগ্রেস আমলের কথা টেনে এনে সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, "তখনকার পেট্রোপণ্যের দাম কিন্তু বর্তমান দামের একেবারে অর্ধেক ছিল।"
বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন কেন্দ্রের শুল্ক অত্যন্ত চড়া। এই কারণে বারবার পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি হয়ে চলেছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে সোনিয়া গান্ধী বললেন, "বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি লিটার পেট্রোলের ওপরে ৩৩ টাকা এবং প্রতি লিটার ডিজেলের ওপরে ৩২ টাকা শুল্ক চাপায়। এই শুল্ক মূল দামের থেকে অনেকটা বেশি। বর্তমানে সরকারি এবং অর্থনৈতিক অব্যবস্থা ঢাকার জন্য সরকার এই রকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।" তার পাশাপাশি শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে তিনি চিঠিতে অভিযোগ করেছেন, "অর্থনৈতিক মন্দা এই বছর দেখা গিয়েছিল। সেই মুহূর্তে বহু মানুষ তার রুটি রুজি হারিয়েছেন। এখন বহু মানুষের বেতন কমেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে আপনি এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করুন যেটা গরীব এবং মধ্যবিত্ত মানুষের কাজে লাগবে।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারতে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম একেবারে আকাশছোঁয়া চলছে। দিন কয়েক আগে এরকম পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী চেন্নাইতে তেল এবং গ্যাস সংক্রান্ত একটি প্রকল্প উদ্বোধন করে এসেছেন। সেখানে তিনি পুরনো কংগ্রেস সরকারের ঘাড়ে মূল্যবৃদ্ধির দায় চাপিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য, যদি কংগ্রেস সরকার তৈল উৎপাদনের উপর বেশি মনোনিবেশ করতে তাহলে বর্তমানে এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। সেই অভিযোগের পাল্টা এ দিন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।